পচেফস্ট্রমে আগে কখনই টি-টুয়েন্টি ম্যাচ আয়োজিত হয়নি। সেনওয়েস পার্কের অভিষেক টি-টুয়েন্টি ম্যাচে সাকিব বাহিনী ঘোচাতে পারবে কিনা। আজ রোববার বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে তারা। টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সর্বশেষ ম্যাচ এটি। সফরের শুরু এবং বাকি অংশ ভাল না কাটলেও শেষটা ভাল হওয়া প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের জন্য। দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
এদিকে ইতিহাস গড়ার পথে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচটি জিতলে এই সফরে তারা তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশকে। প্রোটিয়াদের এই অর্জনটা কি হতে দেবে টাইগাররা? বৃহস্পতিবার প্রথম টি-টুয়েন্টিতে সফরে প্রথমবারের মত কোন ম্যাচ জয়ের আশা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারও দিয়েছেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত। ১৯৬ রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ১৭৫ রানের ভিত্তি সৌম্যর ৪৭ রানের ইনিংসটি। মিডল অর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন মাত্র ৪৮ রান। তাদের একটি ভাল ইনিংস টাইগারদের জয় এনে দিতে পারত। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ৩৯ রানের ইনিংসটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
অথচ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ২১টি। যেখানে প্রোটিয়াদের বাউন্ডারি ২০টি। বেশি বাউন্ডারি মারলেও টাইগার ব্যাটসম্যানরা ১২০ বলের মধ্যে ৪৫টিতে কোন রান নিতে পারেনি। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ডট বল মাত্র ২২টি। এতগুলো ডট বলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। চার প্রোটিয়া পেসার আট উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন।
প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সফলতম বোলার ছিলেন ডানহাতি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে হাশিম আমলাকে ফেরানোর পর বিপদজনক হয়ে ওঠা এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও ফিরিয়েছেন। তবে সেনওয়েস পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টের পিচে তেমন টার্ন ছিল না। তাই রোববারের ম্যাচটিতেও রানবন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশ্রাম থেকে ফিরে এখনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। টি-টুয়েন্টিতে দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি ভাল পারফরম করলে শেষ ম্যাচে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি