২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:২০

এমপি শওকত চৌধুরীর হাইকোর্টের রায় স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শওকত চৌধুরী ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে তার জামিন বাতিল করা হবে মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী দুই সপ্তাহের জন্য রায় স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে শওকত চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। আদালতে কমার্স ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন।

গত ২২ অক্টোবর মো. শওকত চৌধুরী ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে তার জামিন বাতিল করা হবে মর্মে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলেন।

গত বছরের ৮ ও ১০ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শওকত চৌধুরীসহ ব্যাংকটির নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বংশাল শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, চাকরিচ্যুত অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার শিরিন নিজামী, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইখতেখার হোসেন, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ বাউল, সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও বর্তমানে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আসজাদুর রহমান।

অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ২০১৬ সালের ৮ মে ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ এবং ১০ মে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সংসদ সদস্য শওকতসহ ৯ জনের নামে দুটি মামলা করে দুদক।

২০১২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৭টি এলসি খুলে মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল, মেসার্স এগ্রো কেমিকেল লিমিটেড ও উদয়ন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজসে তিনি এ ঋণ জালিয়াতি করেন। পরে যা সুদে আসলে শত কোটি টাকার ওপরে চলে যায়।

এরপর ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে শওকত চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে নিম্ন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে, এই মামলার অপর আসামিরা গত বছর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, প্রধান আসামি শওকত চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। তাই তারাও জামিন পেতে পারেন।

এরপর গত বছরের ২৪ নভেম্বর জামিন বাতিলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরীকে ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা দিতে বলেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ২৯, ২০১৭ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ