২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:০৭

মাত্র ৭ হাজার ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ড দিয়েছে মিয়ানমার

দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:  

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত এক মাসে মাত্র সাত হাজারের বেশি লোককে ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) দিয়েছে দেশটির সরকার। গত ২৫ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান শুরু করে। এরপর নানা সমালোচনার মুখে গত ১ অক্টোবর ওই রাজ্যে যাচাই করে পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে রোববার চীনা সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ খবর দিয়েছে।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেসব সুপারিশ করে তার মধ্যে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অন্যতম। রাখাইন রাজ্যের অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক ইউ অং মিন বলেন, এনভিসি দেওয়ার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে সেখানে এ এনভিসি দেওয়া হচ্ছে। মিন বলেন, ১৯৮২ সালের সিটিজেনশিপ আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব যাচাইয়ে এনভিসি কর্মসূচিই প্রথম পদক্ষেপ। ১৯৪৯ ও ১৯৫১ সালের ইউনিয়ন সিটিজেনশিপ অনুযায়ী যারা মিয়ানমারে অবস্থান করবে তাদের এই কার্ড ব্যবহারের পরামর্শও দেন।  এ ছাড়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সাহায্য, পনুর্বাসন এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে নয়টি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের সকল স্তরে উন্নয়ন এবং সকল সেক্টরে যাতে সরকারি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কাজ করতে পারেই সে জন্যই এইসব টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সু চির দেওয়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাজ্যে তিনটি কাজ গুরুত্ব সহকারে করা হবে। এগুলো হলো- যেসব শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের প্রত্যাবাসন ও কার্যকর মানবিক সহায়তা প্রদান, পুনর্বাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন ও স্থায়ী শান্তি আনয়ন। এ ছাড়া ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ ঘোষণায় যে যাচাইকরণ ও পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়নেও দেশটির সরকার প্রস্তুত বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :অক্টোবর ২৯, ২০১৭ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ