২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:১১

রোহিঙ্গাদের অবস্থানে আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে স্থানীয়রা

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :

রোহিঙ্গা চাপে অতিষ্ঠ কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার ক্ষুদ্ধ বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশমনে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সরকার। স্থানীয় বাসিন্দা ৫ লাখের নিচে হলেও রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। এ অবস্থায় দু’টি উপজেলা প্রশাসন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্ন্তভূক্ত করার পরামর্শ দিয়ে প্রতিবেদন দিতে যাচ্ছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার জনসংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার। অথচ এখানে রোহিঙ্গা রয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি। আর উখিয়ার লোকসংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার হলেও রোহিঙ্গা রয়েছে ৭ লাখের বেশি। গত তিন দশক ধরে ব্যাপক রোহিঙ্গা অবস্থানের কারণে নানা দুর্ভোগ এবং ভোগান্তির শিকার স্থানীয় জনগণ। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি শুরু হয়েছে ২৫ আগষ্টের পর থেকে রোহিঙ্গা ঢলে। কক্সবাজার টেকনাফ-উখিয়া সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘মানবতার দিকে তাকিয়ে উখিয়া রোহিঙ্গাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। তার মানে এই না আমরা মরে তাদেরকে বাঁচাবো।’ কৃষি কাজ এবং পাহাড়ি বন জঙ্গল থেকে কাঠ আহরণই ছিলো এখানকার বাসিন্দাদের জীবিকার মূল উৎস। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে স্থানীয়দের সব আয়ের উৎস এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে এখানকার সব বন জঙ্গলই উজাড় হয়ে গেছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা চাপে অতিষ্ঠ স্থানীয়দের বিষয়গুলো উল্লেখ করে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে প্রতিবেদন দিতে যাচ্ছে দু’টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে রোহিঙ্গা অবস্থানের কারণে বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন খান। বাংলাদেশে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে থাকা রোহিঙ্গাদের কাজের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকলেও টেকনাফ-উখিয়ায় তা মানা হয়না। স্বল্পমূল্যে শ্রম দেয়ায় স্থানীয়দের শ্রম বাজার চলে গেছে রোহিঙ্গাদের দখলে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ২৮, ২০১৭ ৮:১১ অপরাহ্ণ