আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউরোপের বড় বড় কোনো শক্তিই কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রও কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানানো হয়েছে। যদিও বড় কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বা সমর্থন না পেলেও স্বাধীনতার দাবিতে অনড় রয়েছে কাতালানদের বিরাট এক অংশ। স্পেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে জার্মানি। অন্যদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানা রাজয়ের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।
ব্রিটেন বলেছে, স্পেনের অখণ্ডতা অটুট থাকুক এবং তাদের সংবিধান সমুন্নত থাকুক এটি তাদের প্রত্যাশা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র মুখপাত্র বলেন, যে গণভোটের উপর ভিত্তি করে কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সে গণভোট অবৈধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, কাতালোনিয়া স্পেনের অখণ্ড অংশ।
কাতালোনিয়া স্পেন থেকে নিজেদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় কাতালোনিয়ার সংসদ ভেঙে দিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করেছে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাতালোনিয়াতে ‘স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে’ কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপ জরুরি।
কাতালোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে স্পেন সরকার। সংসদ বিলুপ্ত করে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করাসহ তাৎক্ষণিক আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন। কাতালোনিয়ার নেতা কার্লেস পুজডেমন এবং তাঁর অন্যান্য সাংসদদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে কাতালান আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানকেও।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সময়ে আমাদের এখন শান্ত ও বিচক্ষণ থাকতে হবে, এবং রাষ্ট্রের সক্ষমতার উপরেও আস্থা রাখতে হবে। সমাজে যে হুমকিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাষ্ট্রের আইন ও যুক্তি দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়েই তা মোকাবেলা করা সম্ভব।”
কিন্তু স্বাধীনতার দাবিতে বার্সেলোনার প্রধান সড়কগুলোতে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্লোগানে মুখরিত চারদিক। আর গান গেয়ে সম্মিলিত এইসব মানুষকে উদ্দীপ্ত করছে স্থানীয় গানের দল। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর একটি গণভোট হয়। সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে অধিকাংশ জনগন ভোট দেয়।
এরপর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি করে সেটিতে স্বাক্ষর পর্যন্ত করে রেখেছিলেন কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতা পুজডেমন। সেই ঘোষণারই বিলম্বিত বাস্তবায়ন হলো সর্বশেষ এই স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে। কাতালোনিয়া স্পেনের অন্যতম ধনী এবং স্বতন্ত্র অঞ্চল। বহুদিন ধরেই এই অঞ্চলে নিজেদের স্বাধীনতার দাবিটি বিচ্ছিন্নভাবে চলে আসছিল।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ