নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন তিন লাখ ছাড়িয়েছে। গত দেড় মাসে তিন লাখ ১৪ হাজার জন রোহিঙ্গা নিবন্ধনের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মতো নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা সঙ্গে সঙ্গে ছবি সম্বলিত একটি পরিচিতি কার্ড পাচ্ছেন। তবে, আইওএমর হিসাব মতে দেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের মাঝে এখনো নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে আরো ৩ লাখ রোহিঙ্গা। যা স্থানীয় পরিসংখ্যানে আরো বেশি বলে মনে করছেন সীমান্তবাসী।
পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের উপ-পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাগির জানান, এখন প্রতিদিন গড়ে ১১ হাজরের বেশি রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হচ্ছেন। নিবন্ধন কেন্দ্রে ভিড় অনেক বেড়েছে। দিনভর ছবি তুলে ও তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে নিবন্ধন কর্মীদের। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ছবি তুলছেন, তাদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করছেন এবং একইসাথে তাদেরকে একটি করে ছবি সম্বলিত নিবন্ধন কার্ড ধরিয়ে দিচ্ছেন। অনেকটা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মতো।
উখিয়া উপজেলার কুতুপালং-১ কুতুপালং-২ নোয়াপাড়া, থাইংখালী-১, থাইংখালী-২ বালুখালী ও টেকনাফ উপজেলার লেদা এই ৭টি ক্যাম্পে নিবন্ধনের কাজ চলছে। পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশনের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) তথ্য মোতাবেক ২৫ আগস্টের পর থেকে গত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা ৬ লাখ ৪ হাজার। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে ধরলে আরো প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা এখনও নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আর বেসরকারি হিসাবে তা ৫ লাখ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের হয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন পর্যবেক্ষণকারী সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম লুৎফুল রহমান বলেন, আশ্রিত সব রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে অব্যাহত রয়েছে কাজ। আমাদের চেষ্টা রয়েছে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার নিবন্ধন করতে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অসচেতনতার কারণে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়ে উঠে না।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর