নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ মহেশপুরে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে হ য ব র ল অবস্থায় ।উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং পরিচালনার মান খুবই শোচনীয়। মহেশপুরের বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না , প্রধান শিক্ষকদের ও স্কুলে সঠিক সময়ে ছাত্র-ছাত্রী বা শ্রেনী শিক্ষকদের স্কুলে আসা নিয়ে তদারকি নেই, নেই কোন মাথা ব্যাথা, কিছু কিছু স্কুলে দেখা গেছে ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেনী কক্ষে পাঠদান বাদ দিয়ে শিক্ষকদের আড্ডার ফোয়ারা দিচ্ছে ।এছাড়া অভিযোগ রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে স্কুলের নানাবিধ কাজ করানো, স্কুলে শিক্ষিকাদের রান্না করে খাওয়া, শিক্ষিকাদের বাচ্ছা সাথে করে নিয়ে এসে বিদ্যালয়ে পাঠদান বাদ দিয়ে তাদের পরিচর্যা করা, স্কুলে এসে ঘুমানো ইত্যাদি। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কে সব্বোর্চ গুরুত্ব দিয়েছেন কিন্তু কোন কোন স্কুলে চার -পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার বিপরীতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর হাজিরা ৬-৭ জন পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলামের আকস্মিক বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শনে ও বিভিন্ন অনিয়ম উঠে এসেছে। তিনি গত ২৬ অক্টোবর পদ্মরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা ১৫ মি: পরিদর্শনে যান ,সেখানে গিয়ে দেখেন স্কুলের সময় সকাল ৯টা থেকে শুরু হলেও কোন শিক্ষক বা ছাত্র-ছাত্রী কেউই তখন আসে নি স্কুলে ক্লাস রুমে কয়েকটি ছাগল বিচারণ করছে।এছাড়া তিনি গত ১২ অক্টোবর গাড়াবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান সেখায়ে যেয়ে দেখেন স্কুল চলাকালীন দুজন শিক্ষক কোন ছুটি ছাড়ায় অনুপস্থিত। গত ৬ অক্টোবর তিনি বাবলা মাথাভাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান সেখানে গিয়ে দেখেন ৪-৫ জন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি এছাড়া তিনি জাগুসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলের বেশ কিছু শ্রেনী কক্ষে শিক্ষক না পেয়ে ৫ম শ্রেনীর ক্লাস নিজে নেন।
এ সকল বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে মহেশপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে সকল অনিয়ম অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে সেটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কঠোর ভাবে প্রতিরোধে কাজ করে যাচেছ এছাড়া অবিভাবক, শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের ও সমাজের গর্ণমাণ্য ব্যাক্তি বর্গের সচেতন হতে হবে, কোথাও কোন অনিয়ম হলে আমাকে জানাবেন এ নম্বরে ০১৭৩৩০৭৪৬৩৮.
এ বিষয়ে উপজেলার শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন ,বর্তমানে মহেশপুরে ১১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করছি আর শিক্ষা সংক্রান্ত কোন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা- অনিয়মের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ