২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১৪

স্ত্রী-মাসহ শিক্ষককে গাছে বেঁধে পেটালেন সাবেক ইউপি মেম্বার

যশোর প্রতিনিধি:

ছিনতাই মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় যশোরের চৌগাছায় মশিয়ার রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষককে সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গাছে বেঁধে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার গয়ড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের চায়ের দোকানের পাশে একটি মেহগনি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মশিয়ার রহমানের স্ত্রী রুমা আক্তার ও বৃদ্ধা মা মোমেনা বেগম ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও মারপিট করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। আহত শিক্ষক মশিয়ার রহমান উপজেলার ছোট কাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গয়ড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের ছেলে।

তিনি জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার ভাতিজা হৃদয়কে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের নেতৃত্বে ইন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মুন্তাজ আলীসহ ৬/৭ জন পূর্বশত্রুতার জের ধরে তিলকপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি বাঁশ ঝাড়ের কাছে মারপিট করে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চৌগাছা হাসপাতাল এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার (মশিয়ার) ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মশিয়ার রহমান ১০ হাজার ৬১৫ টাকা নিয়ে আগে থেকে বায়না দিয়ে রাখা একটি ছাগল কিনতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রেজাউলের চায়ের দোকানের পাশে পৌঁছালে সাবেক মেম্বার আতাউল হকের নেতৃত্বে গ্রামের মৃত দুঃখের ছেলে মুন্তাজ আলী, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শুকুর আলী, ইসলামের ছেলে মজনু, মংলার ছেলে রোস্তম, মজনুর ছেলে শামীম, শামসুলের ছেলে শামনুর তার পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তারা পাশের একটি মেহগনি গাছে বেঁধে তাকে নির্যাতন করে।

খবর পেয়ে তার স্ত্রী রুমা আক্তার ও ৮০ বছর বয়সী মা মোমেনা খাতুন এবং গ্রামের আব্দুল জলিল খানের ছেলে ফিরোজ খান এগিয়ে এলে তাদেরও বেদম মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলের শব্দে পুলিশ এসেছে মনে করে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্বরুপদহ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি এখনও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামীম জানান, তিনি যশোরের বাইরে আছেন। চৌগাছায় ফিরে তদন্তসাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :অক্টোবর ২৬, ২০১৭ ৫:১১ অপরাহ্ণ