আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়ায় গত দুই বছরে দোররা দণ্ডের শিকার হয়েছেন ৫ শতাধিক মানুষ। এই বর্বর শাস্তির নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধ করতে দেশটির প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। খবর বিবিসি।
ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র আচেহ প্রদেশেই ইসলামি শরীয়াহ মেনে চলা হয়। ২০০৬ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে এক শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে সেখানে দোররা আইন অনুমোদন করা হয়। কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সমকামিতা এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিতে শরীয়া পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রদেশে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সমকামিতার জন্য ১শ দোররা এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য ৩০ দোররা মারার বিধান চালু হয়। কানুন জিনায়াত নামে নতুন একটি ইসলামিক ক্রিমিনাল কোডের আওতায় এই দণ্ডের বিধান শুরু হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সতর্ক করে বলেছে, জুয়া ও মদ্যপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা এসব আইনগুলো মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিমদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হচ্ছে। গত বছর এক খ্রিস্টান নারীকে মদ বিক্রির জন্য দোররা মারা হয়।
ইরান, সুদান, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনেইতেও দোররা মারার বিধান চালু রয়েছে। ইসলামিক বিধান হলেও এ ধরণের শাস্তিকে নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ