নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ফেনীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে জেলার ৬ উপজেলায় ৪ হাজার ৬১৮ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০০ হেক্টর শীতকালীন সবজি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের কহুয়া নদীর বাগমাড়া ও টেটেশ্বর নামক স্থানে ভাঙনের কারণে প্লাবিত হয়েছে উত্তর গুথুমা, বাঘমারা ও টেটেশ্বর গ্রাম। একইভাবে ফুলগাজীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধের স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে সদর ইউনিয়নের নিলক্ষী, গোসাইপুর, উত্তর শ্রীপুর, দেড়পাড়া, শাহাপাড়া, ঘনিয়ামোড়া, বাসুরা, গোসাইপুর, দৌলতপুর, মুন্সীরহাট ইউনিয়নের নোয়াপুর, করইয়া ও বদরপুর, তারালিয়া, কমুয়া, কামাল্লা, পৈথার, দরবারপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর, আমজাদ হাট ইউনিয়নের ধর্মপুর, মনিপুর, জিএমহাট ইউনিয়নের শ্রীচন্দ্রপুর, বশিকপুর গ্রামসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া সোনাগাজীর উপকূলীয় এলাকায় বেশ কিছু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এসব জেলায় ৪ হাজার ৭১৮ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ফুলগাজীতে রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৬’শ হেক্টর ও ১০ হেক্টর সবজি। পরশুরামে রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ২৮০ হেক্টর ও ৩০ হেক্টর সবজি। এছাড়া ছাগলনাইয়ায় ৪৬৮ হেক্টর রোপা আমন ও ৫ হেক্টর সবজি, দাগনভূঞা উপজেলায় ১০০ হেক্টর রোপা আমন ও ২৫ হেক্টর সবজি, সোনাগাজী উপজেলায় ১০০ হেক্টর রোপা আমন ও ২৫ হেক্টর সবজি, সদর উপজেলায় ৭০ হেক্টর রোপা আমন ও ৫ হেক্টর সবজি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. খালেদ কামাল জানান, মঙ্গলবার তিনি ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার পানি কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি কমতে শুরু করেছে। এভাবে কমতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ