নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্থপাচার মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের জামিন আবেদন নাকোচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন। এর আগে দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অর্থ-পাচারে পৃথক তিন মামলায় আত্মসমর্পণকারী আপন জুয়েলার্সের অপর দুই মালিক হলেন- গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ।
এর আগে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নুরনবীর আদালতে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর হাকিম নুরন্নাহার ইয়াসমিন গুলশান থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় অপর দুই আসামি গুলজার ও আজাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জরি করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, অর্থপাচারের এসব মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। কিন্তু সোমবার ও রোববার মামলার ধার্য তারিখে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর মাধ্যম সময় আবেদন ও জামিন চান তারা। আদালত তা নাকচ করে আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলায় এ পরোয়ানা জারি করেন। চলতি বছরের ৬ মে আপন জুয়েলার্সের আরেক মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতের বিরুদ্ধে বনানীর হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ অভিযোগে মামলা হয়। এরপর আপন জুয়েলার্সের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
৪ জুন শুল্ক বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু শাখা থেকে ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। ওই স্বর্ণালংকার জব্দ করার ঘটনায় অর্থপাচারের অভিযোগে ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দিলদারের বিরুদ্ধে তিনটি ও অপর দুইজনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে। এর আগে ৮ জুন আপন জুয়েলার্সের ওই তিন মালিকের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দিলদারের বিরুদ্ধে তিনটি ও অপর দুইজনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি