২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৪২

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় দিন ধরে ভিসির দপ্তর বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলী আশরাফ শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির কারণে নয় দিন ধরে নিজ দপ্তরে যাননি। এ অবস্থায় গত রোববার ও গতকাল সোমবার শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদোন্নতি ও আপগ্রেডেশনের বোর্ড ডাকা হলেও তা বাতিল করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, উপাচার্য নিজের বাংলোতে আছেন। গত দুই দিন পদোন্নতি বিষয়ে বোর্ড করার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১৭ ও ১৮ নভেম্বর প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা হবে। তার কার্যক্রম চলছে।

গতকাল দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা চেয়ার পেতে বসে আছেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান করেন। প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য আশরাফের দপ্তরে তালা ঝুলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। তবে ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে পুরোদমে। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও চলছে ডিন কার্যালয়ে। আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, উপাচার্য ১৪ দফা দাবি নিয়ে কোনো আলোচনা না করে নিজেই বাংলোতে আছেন। তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ১৫ অক্টোবর শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের কাছে ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগসহ ১৪ দফা দাবি পেশ করে। ১৬ অক্টোবর আলোচনার সময় নির্ধারণ করেও উপাচার্য সেটি বাতিল করে দেন। এরপর শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের দপ্তরে তালা দেয়। শিক্ষক সমিতি ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগসহ ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে

মেহেদী হাসান আরও বলেন, উপাচার্য শিক্ষক সমিতির মতো একটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় না বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত করছেন। এভাবে তিনি সংকট থেকে মুক্তি পাবেন না। উল্টো দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হবে। তবে শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রেখে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে।

সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, পদে পদে অনিয়ম করায় উপাচার্যের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কেউ নেই। তিনি সংকট নিরসনের জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। উল্টো বিভিন্ন পদে লোকজনকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য চিঠি জারি করেছেন। তাঁর আমলে (আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত) কোনো ধরনের অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি হবে না। সমিতি তা হতে দেবে না। উপাচার্য মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘দপ্তরে তালা দিয়ে রাখলে আমি কীভাবে যাব? তালা দেওয়ার কারণে আলোচনা স্থগিত করেছি। নতুন করে কাউকে নিয়োগ দিচ্ছি না।’

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ২৪, ২০১৭ ২:০৬ অপরাহ্ণ