স্বাস্থ্য ডেস্ক:
এমনেতেই কথায় বলে ‘দিনে বালিশ, আর রাতে চল্লিশ’ এর অর্থ হচ্ছে দিনে খাওয়ার পর বালিশ নিয়ে একটু গড়াগড়ি করতে পারেন। আর রাতে খাওয়ার পর অবশ্যই চল্লিশ কদম হাঁটতে হবে। নয়তো সেটা শরীরের জন্য ভালো না। তবে এক একজন মানুষের রাত্রিকালীন অভ্যাস এক এক রকমের হয়। খাওয়ার পরে কেউ গান শুনতে ভালবাসেন, কেউ বা বই নিয়ে সময় কাটান। কেউ আবার খেয়ে উঠেই সটান লম্বা হন ঘুমোবেন বলে। এই সমস্ত অভ্যাসের মধ্যে কোনগুলো শরীরের পক্ষে ভালো, কোনগুলোই বা অস্বাস্থ্যকর? সেগুলো নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু অন্তত একটি কাজ খেয়ে উঠে শুতে যাওয়ার আগে না করলে হতে পারে গুরুতর শারীরিক সমস্যা, এমনটাই মনে করছেন ডায়েটিশিয়ানরা। ‘দা গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ নামের দৈনিকে ডায়েটিশিয়ান লেজলি ব্যাক জানাচ্ছেন, রাতে খেয়ে ওঠার পরে আর কিছু করুন না করুন, দু’তিন ঘণ্টার বেশি কিছুতেই জেগে থাকবেন না। যদি খাওয়ার পরে চার বা পাঁচ ঘণ্টা বাদে শুতে যান, তাহলে শরীরে মেটাবলিজম রেটে যেমন গুরুতর পরিবর্তন আসে, তেমনই ঘুমেও সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে রক্তচাপের ইতরবিশেষ ঘটে এবং হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে।
কাজেই লেজলির পরামর্শ, যদি রাতে খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকতেই হয় তাহলে ফল কিংবা অন্য কোনও সহজপাচ্য খাবার খেয়ে নিন।
কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমোতে যাওয়ার কথা বলছেন লেজলি। তার বক্তব্য, খেয়ে উঠেই ঘুমিয়ে পড়লে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল রিফ্লাক্সের ফলে গ্যাস, অম্বল বা বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই খাওয়া এবং ঘুমোতে যাওয়ার মধ্যে ঘণ্টা দেড়-দুই ব্যবধান রাখাই আদর্শ, এমনটাই মত লেজলির
তথ্য সূত্র: এমসিডিসি
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ