২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৩২

আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।সোমবার রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নুরনবী আসামি দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন গুলশান থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় আপন জুয়েলার্সের অপর দুই মালিক দিলদার আহমেদের দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালত সূত্র জানা গেছে, অর্থপাচারের এসব মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। সোমবার দিলদার আহমেদের মামলাটি ও রোববার ওই দুই আসামির মামলার ধার্য তারিখে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন ও জামিন চান তারা। আদালত তা নাকচ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত মে মাসে দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার পর তার পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ওই মাসের শেষের দিকে আপন জুয়েলার্সের ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

শুল্ক ফাঁকি রোধে দায়িত্বরত এই সংস্থার ভাষ্যমতে, মজুদ এসব সোনার গহনার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এরপর অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় মামলা পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :অক্টোবর ২৩, ২০১৭ ৭:১৪ অপরাহ্ণ