২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:১০

মহাকাশে উজ্জ্বল বেলজিয়াম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউরোপের সবচেয়ে ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ বেলজিয়াম মহাকাশ থেকে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল। মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে বেলজিয়াম যেনো বিশ্বের বুকে আকাশ ভরা জ্বলজ্বলে এক ঝাঁক তারা। সম্প্রতি মহাকাশ থেকে ফরাসি নভোচারী টমাস পেস্কের তোলা ছবিতে সেই দৃশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে।

জানা যায়, বেলজিয়ামের সড়কগুলোতে সারা রাত ধরে উজ্জ্বল সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখার প্রচলন রয়েছে। আর সেই কারণেই মহাকাশ থেকেও জ্বলজ্বলে বেলজিয়াম।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন টমাস সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ছবি তুলেছেন। সেখানে বেলজিয়ামের উজ্জ্বলতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে চলছে তুমুল আলোচনা। হাজার হাজার লোক সেই ছবিতে মন্তব্য করছেন। ইউরোপ মহাদেশের সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে, বেলজিয়াম তার প্রতিবেশীদের তুলনায় অনেক বেশি জ্বলজ্বল করছে।

বেলজিয়ামে রাস্তার নেটওয়ার্কের ঘনত্ব খুব বেশি। পুরো সড়ক জুড়েই রয়েছে সড়ক বাতি। সেই বাতিগুলো সারা রাত ধরেই আলো দেয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলজিয়ামের রাস্তাগুলোয় আলো দিতে প্রায় ২২ লাখ বাল্ব ব্যবহার করা হয়। প্রতি বর্গমাইলে রয়েছে প্রায় ১৮৬টি সড়কবাতি।

৩৯ বছর বয়সী ফরাসি নভোচারী টমাস টুইটারে লেখেন, ‘পৃথিবীর উত্তরপ্রান্তে নর্দান লাইটস বা অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যথারীতি বেলজিয়ামকে এখানেও সবার চেয়ে আলাদা করে চেনা যাচ্ছে।’

ফেসবুক পেজে আরও একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “লন্ডন, প্যারিস ও ব্রাসেলস মিলে তৈরি করেছে একটি ‘একান্তভাবে ইউরোপীয় ত্রিভুজ’।”

এই ছবিগুলো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের মডিউল ‘কিউপোলা’ থেকে তোলা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।

নিজের ব্লগে টমাস জানিয়েছেন, মহাকাশ স্টেশনের ব্যায়াম মেশিনে শরীরচর্চা করার সময় তিনি পৃথিবীর এই দৃশ্যগুলো দেখতে খুব ভালবাসেন। ‘এত সুন্দর ভিউ-ওলা জিম তো খুব বেশি নেই’, মজা করে লিখেছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবিগুলো নিয়ে যে চর্চা হচ্ছে তাতে বেশির ভাগ লোকই লিখেছেন পৃথিবীর চারশো কিলোমিটার ওপর থেকে তোলা এই গ্রহের রাতের সৌন্দর্যের ছবি দেখে তারা মুগ্ধ।

তবে এতে বিদ্যুতের অপচয় এবং আলোক দূষণ ঘটছে তা নিয়ে সমালোচনা করতেও ছাড়েননি অনেকে। ক্রিস্টিয়ান সেলার নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘আকাশ যারা ভালবাসেন তাদের জন্য এটা ভয়াবহ। আলোর রোশনাই আর বিদ্যুতের চরম অপচয়!’

আরও একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী চিন্তিত ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে। তিনি বলছেন, আমি আশা করব এলিয়েনরা আলো দেখে পৃথিবীতে আসতে আকৃষ্ট হবে না। আমরা তো তাদের একসঙ্গে সবাইকে ঠাঁই দিতে পারব না!

n/h =ddj

প্রকাশ :মে ১৬, ২০১৭ ১২:০০ অপরাহ্ণ