নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইলিশ শিকারে সরকার নির্ধারিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার রাত ১২টায়। ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২ দিন মুন্সিগঞ্জের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এসময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি ছিল নিষিদ্ধ। এ আইন আমান্য করায় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করা হয়েছে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলিয়ুর রহমান জানান, আইন অমান্য করে অনেক জেলেই নদীতে মাছ শিকার করেছেন এবং বিক্রিও করেছেন। ২২দিন নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মা ইলিশ রক্ষার্থে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জে ৮৭ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, সাড়ে ৪ লাখ টন মা ইলিশ, ৯১ জেলেকে কারাদণ্ড, ১৭৮ জনকে জেল জরিমানা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ৭৩টি, অভিযান হয়েছে ১৮৮টি, সরকারি কোষাগারে জমাকৃত রাজস্বের পরিমাণ ২ লাখ ২২ হাজার ১০০ টাকা। জেলার ইলিশ মাছ শিকারি ২ হাজার ৯৭২ জেলের বরাদ্দ না আসায় কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। জেলা মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিকে, টানা ২২ দিন বিরতির পর পদ্মা, মেঘনায় ফের ইলিশ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। প্রজনন মৌসুমে আরোপিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে এখন মাছ ধরতে বাধা নেই। শত-শত নৌকায় জেলেরা ছুটছেন নদীতে মাছ শিকারে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ