নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া আমাদের দেশের দুর্নীতির আরেকটি উৎস। বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রধান এবং সাপোর্টিং টেন্ডারের প্রচলন রয়েছে। এক্ষেত্রে তথাকথিত নেগোসিয়েশনের নামে দুর্নীতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রতিটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ইলেক্ট্রনিক টেন্ডারিং (ই-টেন্ডারিং) প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা উচিত। এই নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দুদকের নিকট অভিযোগ আসে।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মধ্যে পারস্পরিক দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে এক মতবিনিময় সভায় ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, নেগোসিয়েশন হতে পারে, তবে তা হতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে। তিনি সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা আনয়নের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে দুর্নীতি সুযোগ কমে যাবে।
তিনি বলেন, মার্কেটে যদি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে পণ্য উৎপাদনে সৃজনশীলতা আসবে, মান-সম্পন্ন পণ্যের জোগান বাড়বে, দ্রব্যমূল্য কমবে, জনগণের ভোগান্তি হ্রাস পাবে। কেউ ব্যবসার নামে অনুপার্জিত আয় করতে পারবে না। অনুপার্জিত আয় কমে আসলে দুদকের কাজও কিছুটা সহজ হয়ে যাবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোনো ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করতে সমর্থ হবেন না।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সবাইকে সাথে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান, মো. জাফর ইকবাল, মো. আতিকুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের তিন কমিশনার।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর