আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটিশ এক নাগরিকের কাছে এটি বিক্রি করা হয়, ওই ব্যক্তি টেলিফোনে নিলামে অংশ নিয়েছিলেন। নিলামদার অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্রিটিশ ক্রেতা ‘ইতিহাসের অভিনব সব জিনিস সংগ্রহে রাখেন।’ উল্লেখ্য, হলভারসন ও তাঁর স্ত্রী ম্যারি সাউদাম্পটন থেকে টাইটানিকে উঠেছিলেন, তাদের বাড়ি নিউইয়র্কে ফিরে যাবার কথা ছিল তাদের। মায়ের কাছে লেখা হলভারসনের চিঠিতে ছিল টাইটানিক ও এর যাত্রীদের কিছু বর্ণনা। ‘জাহাজটা বিশাল বড় এবং দেখতে রাজকীয় হোটেলের মতো। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জন জ্যাকব অ্যাস্টর ও তার স্ত্রীও রয়েছে আমাদের সঙ্গে। কোটি কোটি টাকা থাকলেও তিনি দেখতে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই। ডেকের বাইরে তিনি আমাদের সঙ্গে বসে আছেন।’
টাইটানিক ডুবে যাবার ফলে যে পনেরোশো মানুষের মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হলভারসন। জেজে অ্যাস্টর ও তার স্ত্রীও মারা যান। তবে ম্যারি হলভারসন বেঁচে গিয়েছিলেন। তার স্বামী অস্কার হলভারসনের মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার পকেটে চিঠিটা পাওয়া যায়। চিঠিটার মধ্যে এখনও সাগর ও পানির চিহ্ন রয়েছে। হলভারসনের ওই চিঠি তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। নিলামদার অ্যালড্রিজ বলছেন ‘সম্ভবত এটাই জাহাজের কোনো যাত্রীর লেখা একমাত্র চিঠি যেটা তার মৃত্যুর কারণে পোস্ট না করা হলেও প্রেরকের কাছে পৌঁছেছে।’ বিবিসি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

