নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরগুনায় জোয়ারের পানি আর অতিবৃষ্টিতে নিম্মাঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাথরঘাটায় ঝড়ে বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। তলিয়ে গেছে নিম্মাঞ্চল।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে বরগুনায় গত তিন দিনে জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুই দিন ধরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বরগুনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার ভোর রাতে হঠাৎ টর্ণেডোতে পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ি ও কিরনপুর গ্রামে ৪০টি বসতঘর ও ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরের চালে গাছের নিচে চাপা পড়ে রেনু (৪৮) নামের এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন।
জোয়ারের পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, বরগুনা সদর, বেতাগী, আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধে।
ভাঙা বেড়িবাঁধ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী, গুলিশাখালী, গৌরিচন্না ইউনিয়নের বিষখালী নদীর তীরে অবস্থিত খাজুরতলা আশ্রয়ন প্রকল্প, ঢলুয়া ইউনিয়নের মাছের খাল, ডালভাঙা, মোল্লার হোড়া, গোলবুনিয়া, বেতাগী উপজেলার, কেওয়াবুনিয়া, দক্ষিন বেতাগী, ছোট ঝোপখালী, কালিকাবাড়ি, সরিষামুড়ি, পাথরঘাটা উপজেলার জ্বিনতলা, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী, চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী এবং তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জোয়ারের পানি আর অতি বৃষ্টিতে আমন ক্ষেত তলিয়ে আছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে আমন উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষিবিদরা।
দৈনিক দেশজনতা /এনএইচ