নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে বৃহস্পতিবার থেকে দমকা হাওয়া ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর ফলে মোরেলগঞ্জ পৌরসভাসহ গোটা উপজেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কমপক্ষে ৩ হাজার মৎস্য ঘের।
জিউধরা, বহরবুনিয়া ও পঞ্চকরণ ইউনিয়নে কমপক্ষে ৩ হাজার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে হেড়মা-সোনাখালী ১০ কি.মি ওয়াবদার ভেড়িবাঁধ। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, বাঁধ উপচে প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে দেবরাজ গ্রামে।
জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, অবিরাম বৃষ্টি ও জোয়ারে পানি বৃদ্ধির কারণে ওই ইউনিয়নে কমপক্ষে ২ হাজার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। কোন ঘেরের সীমনা দেখা যাচ্ছেনা। তেলিগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তার বলেন, এখানে শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৮শ’ মৎস্য ঘের এবং উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের বলেন, নদীর তীরবর্তী কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কুমারখালী, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া ও মধ্যবরিশাল গ্রামের ৫ শতাধীত পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
গোটা উপজেলায় ব্যাক্তি মালিকানাধীন ঘের, পুকুর তলিয়ে খালসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ছড়িয়ে পড়ায় সর্বত্র মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান বলেন, কমপক্ষে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি বিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বহু মৎস্য ঘের, পুকুর, রাস্তা-ঘাট পানির নীচে রয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নিরূপন করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক দেশজনতা /এনএইচ