আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী ৯০ লাখ মানুষ দূষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট এই তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে এক চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ ছিল দূষণজনিত। দূষণ থেকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে বাংলাদেশে। তালিকায় এরপরে আছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। বাংলাদেশ ও সোমালিয়ায় মোট মৃত্যুর প্রায় ২৮ ভাগ পরিবেশ দূষণজনিত রোগের কারণে হয়। খবর বিবিসি’র
যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দূষণজনিত মৃত্যুর দুই তৃতীয়াংশের পেছনে রয়েছে বায়ু দূষণ। দূষণজনিত মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ব্রুনেই এবং সুইডেনে। মৃত্যুর বেশিরভাগ হয়েছে দূষণের কারণে সংক্রামক নয় এমন রোগে, যার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সার। দূষণের চ্যালেঞ্জ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের থেকেও বেশি। দূষণ জনস্বাস্থ্যের নানা দিকের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, জানিয়েছেন এই গবেষণায় জড়িত একজন বিজ্ঞানী ও প্রফেসর ফিলিপ ল্যান্ড্রিগান। তিনি নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ে ইকান স্কুল অফ মেডিসিনে কাজ করেন।
বায়ু দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে ৬৫ লাখ মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বাইরে থেকে আসা দূষণ যেমন গ্যাস, বাতাসে দূষণ কণা এবং ঘরের ভেতর কাঠ ও কাঠ কয়লা জ্বালানোর ধোঁয়া। এরপর যেটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে সেটি হল পানি দূষণ, যার থেকে মৃত্যু হয়েছে ১৮ লাখ মানুষের। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে দূষণ থেকে মারা গেছে ৮ লাখ মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে। আর এর মধ্যে দূষণের একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে এমন দেশে। যেমন ভারতে যে দেশ তালিকায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। চীনও রয়েছে তালিকার ১৬তম স্থানে।