দেশ জনতা অনলাইন:
সিরিয়ার একটি সামরিক কারাগারে চুল্লী বসিয়ে হাজার হাজার বন্দীর লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে মার্কিনীদের অভিযোগ, একটি সামরিক কারাগারে বন্দীদেরকে হত্যার পর প্রমাণ লুকানোর জন্য কারাগারের ভেতরেই একটি চুল্লী বা ক্রিমেটোরিয়াম স্থাপন করে সিরিয়ান প্রশাসন। যার ভেতরে ঢুকিয়ে বন্দীদের লাশ পুড়িয়ে ফেলেছে তারা।
এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণও হাজির করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, যার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ক্রিমেটোরিয়ামের ছবিও। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সেডনায়া বন্দীশালায় হাজার হাজার বন্দীকে নির্যাতনের পর হত্যা করেছে সিরিয়ার সরকার।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কূটনীতিবিদ স্টুয়ার্ট জোনস বলেছেন, সেডনায়াতে একদিনে ৫০ জন পর্যন্ত বন্দীকে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে নৃশংসতা চালানো হয়েছে এবং এটা হয়েছে রাশিয়া এবং ইরানের নিঃশর্ত সমর্থনে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ বন্দী হত্যার প্রমাণ সরিয়ে ফেলবার জন্য এই ক্রিমেটোরিয়াম স্থাপন করেছিল বলেও জানান তিনি।
ক্রিমেটোরিয়াম হচ্ছে একধরণের বৈদ্যুতিক চুল্লী, যেটার মধ্যে মৃতদেহ ভস্ম করা হয়। তবে নতুন এই অভিযোগ সম্পর্কে সিরিয়ার সরকারের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ তুলেছিল যে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল থেকে সেডনায়া বন্দীশালায় প্রতি সপ্তাহে গণফাঁসী কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে। তখন সিরিয়ার সরকার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও সত্যের অপলাপ বলে উল্লেখ করে বলেছিল, সিরিয়ায় সব ধরণের ফাঁসীই যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে কার্যকর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষীর ভিত্তিতে তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয় ৫ বছরে সেডনায়া বন্দীশালায় নিহত বন্দীর সংখ্যা ৫ হাজার থেকে ১৩ হাজারের মধ্যে। এর চাইতে আরো বহু বেশী সংখ্যক বন্দীকে সেখানে শিকার হতে হয়েছে নিয়মিত নির্যাতনের। বিবিসি
n/h =ddj