দেশ জনতা ডেস্ক:
গতকাল মধ্যরাতে ঝড় শিলাবৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে এ ঝড়-বৃষ্টি থেমে থেমে রাত ১২-১০ মিনিট পর্যান্ত চলে। এর মধ্যে কয়েক দফা শিলাবৃষ্টি হয়। শিলার আকার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিমাপ করতে পারেনি।
গতকাল সোমবার দিনের ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেলেও বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। পথচারীদের দুর্ভোগে ফেলে দেয় মেঘের বিকট গর্জন ও বিদ্যুত্ চমকানি। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৪০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস , তিনি বলেন, পাবনা, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইলে এখন কালবৈশালী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এটা আরো নিচের দিকে নেমে এক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় আবারো কালবৈশাখী ঝড় আসতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে অনুভূত হয় ভ্যাপসা গরম। সূর্যের তীব্র রশ্মি ব্যাহত করে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাল্টে যায় রাজধানীর আবহাওয়া। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাত্ বেড়ে যায় বাতাসের বেগ। মেঘের গর্জন ও বিদ্যুত চমকানি পুরো পরিবেশটা পাল্টে দেয়। থমকে যায় পথচারীদের পথচলা। নেমে আসে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর নেমে আসে আরেক দফা, যা রাত ১২-১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে। বৃষ্টি আর শিলা বৃষ্টিতে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ে। অনেকে শিলা বৃষ্টিতে আহত হন। দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীবাহী বাহনের অপেক্ষা করতে থাকেন লোকজন। বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়ক ও নিচু এলাকায় পানি জমে গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সোমবার রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশের সাতটি বিভাগের কিছু কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সোমবার রাত ১১-থেকে পরবর্তী ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী ও কুষ্টিয়া অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অথবা কোথাও কোথাও এর চেয়ে অধিক বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
n/h =ddj