আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাতালোনিয়ার উপর সরাসরি শাসন চালুর ব্যাপারে সরকারি নির্দেশ প্রত্যাশা করছে স্পেনের মন্ত্রিসভা। কাতালোনিয়ায় গণভোটের তিন সপ্তাহ পরে প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজোই তার মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। স্পেনের সরকার বলছে, কাতালোনিয়ার গণভোট ছিল অবৈধ। অন্যদিকে কাতালান নেতা কার্লেস পুইডেমন্টের দাবি, তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার নির্দেশ পেয়েছেন। ফলে কেন্দ্র সরকার সেখানকার ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেছে।
স্পেনের সংবিধানের ১৫৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো আঞ্চলিক সরকার সংবিধান মেনে না চলে, অন্য কোনো আইন চালু করতে চায় কিংবা স্পেনের স্বার্থকে অবহেলা করে, তাহলে জাতীয় সরকার সেখানকার জনমত জরিপে সিনেটের কাছে আবেদন করতে পারবে। ওই ধারায় আরও বলা রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় সরকার ‘প্রয়োজনীয় স্বার্থ’ রক্ষার জন্য আঞ্চলিক সরকারকে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে পারে। নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা কেবল জাতীয় সরকারের রয়েছে। জাতীয় সরকার আঞ্চলিক সরকারের ‘সকল কর্তৃপক্ষ’কে নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
সেই আইন অনুযায়ী কাতালোনিয়ার সঙ্কটের মুহূর্তে সরাসরি শাসন জারির চেষ্টা করছে স্পেন। এছাড়া কাতালোনিয়ার পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করতে পারে স্পেন সরকার। তবে কোনো সরকারের ১৫৫ নম্বর ধারা অনুসারে স্বায়ত্তশাসন সম্পূর্ণভাবে বাতিলের ক্ষমতা নেই। এক্ষেত্রে ১৫৫ নম্বর ধারায় পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করবে স্পেন। গত ১ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কাতালোনিয়ায় সঙ্কট শুরু হয়েছে। ৪৩ শতাংশ কাতালান গণভোটে অংশ নেন। যাদের মধ্যে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা চান ৯০ শতাংশ। তবে স্বাধীনতার বিপক্ষে যাদের অবস্থান, তারা ভোট বর্জন করেছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি