নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্ধেক পাকা সেতু আর বাকি অর্ধেক সুপারি গাছ ও বাঁশের তৈরি সাঁকো। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন খালের ওপর দিয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই পারাপার হচ্ছে দুই ইউনিয়নবাসী।
৫০টি গ্রামের সংযোগ রক্ষাকারী ব্যাস্ততম ও অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটির নাম ভবানিপুর ভায়া চাঁদপুরা ব্রিজ। ২০১৪ সালে বিষখালী নদীর তীব্র স্রোতে সেতুটির অর্ধেকাংশ ধসে পড়ে। প্রায় ৪ বছর পর্যন্ত মেরামত কিংবা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ফলে পারাপারের বিকল্প উপায় না থাকায় এলাকাবাসী প্রতিবছর চাঁদা তুলে সেতুটির ভেঙে পড়া অংশে বাঁশ আর সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পার হচ্ছে। এতে শত শত শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘভ হলেও যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার এ বিষয়ে অবহিত করা হলেও টনক নড়েনি তাদের। এ সেতুটির উত্তর পাড়ে বিষখালী নদী ঘেঁষা ঝালকাঠি জেলায় আসা যাওয়ার একমাত্র বাইপাস সড়ক ও চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডেবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাদরাসা রয়েছে। দক্ষিণ পাড়ে ভবানীপুর জমজমাট বাজার, ভবানীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনের বাজার ও কেনাকাটা করতে তাদের আসতে হচ্ছে ভবানীপুর বাজারে। সেতুটির ওপর দিয়ে কোনো প্রকার ইঞ্জিন চালিত যান এমনকি রিকশা-ভ্যানও চলাচল করতে পারছে না।
চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. খালেক জানান, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকোর অংশটি দিয়ে পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে বর্ষাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। এতে তাদের লেখাপড়া চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। অভিভাবকরা এ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন রয়েছেন।এখানে নতুন সেতু হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহেল বাকি জানান, আমাদের দফতর থেকে বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই ব্রিজটি পুনঃসংস্কার করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ