নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিন হাসপাতাল ঘুরে এক প্রসূতির রাস্তায় সন্তান প্রসব ও ওই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ অভিহিত করে এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গণমাধ্যমে প্রকাশিত নজরে এনে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুলও দিয়েছেন আদালত। হাসপাতালে যাওয়ার পরও ওই নারীকে তার প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ‘দায়ী ও দোষী’ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা কেন হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ৫ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন রেখে স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পরিচালক, আজিমপুর মাতৃসদনের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন।
আদালত বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এসেছে। এটি আমাদের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সভ্যতার ওপর কালিমা লেপন। আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় গরীব জনগোষ্ঠী অত্যন্ত নিগৃহীত।’ তাদের চিকিৎসার অবহেলার এই দৃষ্টান্ত, সম্মুখ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের আরও সচেতন হওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন আদালত।
গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা নিয়ে তিনটি সরকারি হাসপাতাল ঘোরেন পারভিন নামের এক নারী। তিনটি জায়গার কোনোটিতে স্বাস্থ্যসেবা পাননি তিনি। পরে রাস্তার ওপর পথচারিদের সহায়তায় তার সন্তান প্রসব হয়। তবে জন্মের পরপরই শিশুসন্তানটি মারা যায়। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর