নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে অরফানেজ মামলার আত্মপক্ষ শুনানিতে বলেন, হয়রানি করতেই তাঁর বিরুদ্ধে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন ‘হয়রানি করতেই উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। যা পুরোপুরি কাল্পনিক ও বানোয়াট।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদক বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করে। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশিদ বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
লিখিত বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া জানান, তার বিরুদ্ধে করা মামলায় দুদক যে অভিযোগ এনেছে তা স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। এটি দুদকের আইনের কর্তৃত্ব ও আওতার বাইরে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমি হয়রানি পেরেশানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি। এতে আমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।’ এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুই শর্তে জামিন পান। শর্ত দুটি হলো-এক লাখ টাকা বণ্ডে দুইজন আইনজীবীকে জামিনদার থাকতে হবে এবং বিদেশ যেতে চাইলে আগে থেকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এরপরই তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন।
সোয়া ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আদালতে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এক লাখ টাকার মুচলেকায় খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এরপরই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী বক্তব্য শুরু করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি