স্পোর্টস ডেস্ক:
একটার পর একটা বিশাল পরাজয়, প্রতিপক্ষের একটা উইকেটও ফেলতে না পারার বেদনা, ইনজুরির পর ইনজুরি। বাংলাদেশ এখন কার্যত বিধ্বস্ত একটা দল। কিন্তু খেলাধুলার মজাটা এখানেই যে, এই সব সংকট থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে একটি মাত্র জয়ে। আর সেই জয়ের লক্ষ্যেই আজ আবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে আজ। প্রথম ম্যাচে হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। কাগজে-কলমে এটা বাংলাদেশের সিরিজে ফেরার লড়াই। কিন্তু বাস্তবে এটা বাংলাদেশের পায়ের নিচে একটু মাটি খুঁজে পাওয়ার লড়াই। আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে এই ওয়ানডে ম্যাচ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, গাজী টেলিভিশন ও মাছরাঙা টেলিভিশন।
সিরিজের দ্বিতীয় এই ম্যাচের আগে দু’দলের তুলনা করাই কষ্ট। একদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা আছেন দারুণ ফর্মে। টেস্ট থেকে শুরু করে প্রথম ওয়ানডে পর্যন্ত প্রতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররাই কার্যত শেষ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিংকে। পাশাপাশি তুলনামূলক দুর্বল হলেও আফ্রিকানদের পেস বোলিং অ্যাটাকও বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ হয়েছে। তরুণ বোলার কাগিসো রাবাদা দারুণ করছেন।
বিপরীতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে ছন্দে নেই। বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট পাচ্ছেন তারা প্রতি ম্যাচে। তারপরও প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক ছাড়া কেউ সেই উইকেটের সুবিধা নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সবচেয়ে হতাশা তৈরি করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রতিপক্ষের উইকেট সোনার হরিণের চেয়ে দুর্লভ হয়ে গেছে তাদের কাছে।
এই অবস্থায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে বোলারদের কিছুটা ছন্দে ফিরে আসা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গায়ের জোরে বল করার চেয়ে বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোটা হবে পেস বোলারদের মূল কাজ। বাংলাদেশের পেস বোলিং অবশ্য একটু দুর্বল হয়ে গেছে মুস্তাফিজুর রহমানের ইনজুরিতে। পায়ের গোড়ালি মচকে গিয়ে সফর শেষ হয়ে গেছে এই বোলারের।
ইনজুরি প্রবল হয়ে আছে ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও। প্রথম ওয়ানডে পর্যন্তও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ তাকে পাওয়া যাবে কি না, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে ইনজুরি আছে মুশফিকুর রহিমেরও। তবে দলীয় সূত্রের খবর, তিনি আজকের ম্যাচের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ