দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো চাপ সৃষ্টি করলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ একা নয়। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে মালয়েশিয়া। রোহিঙ্গাদের বর্ণনায় যেসব নির্যাতন উঠে এসেছে তা বর্তমান সময়ে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে তিনি রোহিঙ্গাদের অবস্থান ঘুরে দেখেন এবং অনেকের সাথে কথা বলেন। সেখানেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তার কাছে রাখাইন রাজ্যে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ হত্যা-নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। নিজ দেশে অমানবিক আচরণের বিপরীতে বাংলাদেশ মানবিকতায় তাদের আশ্রয় দেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কৃতজ্ঞতার কথা জানান। কিন্তু তাদের প্রদেয় ত্রাণে অপ্রতুলতাসহ বিভিন্ন সমস্যার মাঝে দিন অতিবাহিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রোহিঙ্গারা।
এ সময় আহমাদ জাহিদ হামিদি রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে বলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে নিজ দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যেন ফিরতে পারে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের পাশাাপাশি মালয়েশিয়াও কাজ করছে। নিজেদের অনেক সীমাবদ্ধতা ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হবে শরণার্থীদের। এত সংখ্যক লোককে একটি দেশ আশ্রয়ের সাথে সবকিছু শতভাগ নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্যাম্প এলাকায় একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করে দেবে মালয়েশিয়া।
অতিসম্প্রতি এর কাজ শুরু হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি, এমনটি জানিয়েছেন পরিদর্শন কালে সাথে থাকা ক্যাম্পে কাজ করা এনজিও কর্মকতারা। এ সময় বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাস, কক্সবাজার জেলা ও উখিয়া উপজেলার পদস্থ কর্মকর্তা এবং দেশি-বিদেশি এনজিও প্রতিনিধিরা তার সাথে ছিলেন।
এরআগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে উপপ্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলা শেষে বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকেই মালয়েশিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়ার কথা রয়েছে তার।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ