ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার দৌলতখানের মাঝের চরে কৃষকের শতশত একর জমির ধান প্রভাবশালী মহিষ মালিকরা তাদের মহিষ দিয়ে নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের বিচার দাবিতে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দৌলতখান উপজেলার মেঘনার মধ্যবর্তী চরবৈরাইগ্যার ভূমি মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের লিখিত অভিযোগে জানান, তাদেরকে ওই চর থেকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী সাহানেওয়াজ মিয়া, নিজাম হাওলাদার, আবু তাহের ভুলাই, ছগির হাওলাদার, নজীর হাওলাদার, সিরাজ উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন বুদ্দি, কাসেম মাস্টারসহ আরও বেশ কয়েকজন মহিষ মালিক রাতের আধারে এক থেকে দেড় হাজার মহিষ কৃষকদের ধানক্ষেতে ছেড়ে দিয়ে প্রায় ৩০০ একর জমির ধানগাছ সম্পূর্ণ নষ্ট করেছে। এতে আনুমানিক অন্তত ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা জানান, প্রথমে তারা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু মিয়াকে জানালে তিনি আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে নিরুপায় হয়ে কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু মিয়া জানান, তিনি চেষ্টা করেছিলেন। এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে ডেকে বসবেন। চেয়ারম্যান আরও জানান, মিহষ মালিকরা যাতে কৃষকদের ক্ষেতের ফসল ভবিষ্যতে আর নষ্ট না করে সে ব্যপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ছাড়াও বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন চরাঞ্চলে মহিষ মালিকদের অত্যাচারে সাধারণ কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, চরে ঘাস কমে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে রাতের আধারে মহিষ ছেড়ে দিয়ে কৃষকদের ফসল নষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে কোন কোন ক্ষেত্রে নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দেয়া হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষকরা তা পাচ্ছে না। এদিকে প্রভাবশালীদের দ্বারা এভাবে নির্বিচারে জাতীয় সম্পদ যাতেআর নষ্ট না হয় সে ব্যপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ