অনলাইন ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়া সোমবার (১৫ মে) জানিয়েছে তারা সফলভাবে নতুন ধরনের ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে। রোববার (১৪ মে) সম্পূর্ণ নতুন ধরনের উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্রটি সব ধরনের পারমানবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি খাঁড়াভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি উর্ধ্বে ২,০০০ কিলোমিটার পৌঁছেছে এবং ৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরের পশ্চিমে গিয়ে পড়েছে। পিয়ংইয়ং আরো জানিয়েছে এটা ছিলো তাদের নতুন ব্যালেস্টিক রকেটের হামলা চালানোর সক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা।
তবে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে তারা এখনও উত্তরের এই দাবি পরীক্ষা করে দেখেনি। দক্ষিণের নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন সিউলে অভিষেক গ্রহণের একদিন পরই পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। মুন উত্তরের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও পিয়ংইয়ং ক্রমাগত তাদের পারমানবিক কার্যক্রম চালিয়েছে। যদিও তারা প্রতিবার সক্ষম হতে পারেনি। তবে এর ফলে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের আশংকা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভার আহ্বান জানিয়েছে। উত্তরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রোববার উৎক্ষেপিত মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘হুয়াসং-১২’।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং-উন ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছেন। উৎক্ষেপণের পর তিনি কর্মকর্তাদের কোলাকুলি করে বলেছেন, মহৎ একটি জিনিস অর্জনে সত্যিই তারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অপরদিকে কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, যাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই তাদের সঙ্গে ‘খারাপ আচরণ’ করে দেশটি। এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন তারা যেন ভূলে উত্তর কোরিয়ার মূল ভূ-খন্ডে প্রবেশ না করে।
এম/এম