আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জের ধরে তুরস্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। মঙ্গলবার এরদোগান বলেন, তুর্কি কর্মকর্তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বয়কট করবে। তিনি জানান, তুরস্কে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তুর্কি নাগরিকদের ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার পর তুর্কি কর্মকর্তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন ব্যাসকে আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলে মানেন না।
এরদোগান বলেন, রাষ্ট্রদূত জন ব্যাস আমাদের কোনো মন্ত্রী, পার্লামেন্ট স্পিকার এমনকি আমার সঙ্গে কোনো বিদায়ী সাক্ষাৎ করুক আমরা তা চাই না। আমরা আগেও এতে সম্মত ছিলাম না এবং এখনও সম্মত নই।’ তিনি বলেন, আমরা তাকে আর তুরস্কে মার্কিন প্রতিনিধি হিসেবে দেখছি না। বেলগ্রেডে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসিকের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে গত কয়েক দশকের অন্যতম বাজে বলে মনে করা হচ্ছে। এর শুরু হয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন কনস্যুলেটের এক মার্কিন কর্মীকে তুরস্কের পুলিশের আটকের মধ্য দিয়ে। গত বছর তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করা হয়। তার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার সন্দেহে গত সপ্তাহে ইস্তানবুলে মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে আটক করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। ওয়াশিংটন এ ঘটনার নিন্দা জানায় এবং অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করে। তুরস্কে নিজের কর্মীদের নিরাপত্তার অজুহাতে আঙ্কারায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস গত রোববার তুর্কি নাগরিকদের নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশিংটনে তুর্কি দূতাবাসও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ‘সব ভিসা সেবার’ ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি