নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ হাজার লেট্রিন নির্মাণ করে দেবে ইউনিসেফ। এতে সংস্থাটি ব্যয় করবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।বুধবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই কাজ বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনী।
সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেকটর এডোয়ার্ড বেনগ্যাবেড ও বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গা সেলের দায়িত্বে থাকা যুগ্মসচিব হাবিবুল কবির সই করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শাহ কামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন। বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে এগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সাত হাজার ৮৪৯টি ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া এ মাসের মধ্যেই সব রোহিঙ্গাকে টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর লক্ষ্যে সরকার দেশি-বিদেশি সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩৫ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন। সরকার ইতোমধ্যে সাত হাজারের অধিক ল্যাট্রিন নির্মাণ করেছে। অবশিষ্ট ল্যাট্রিন ইউএনএইচসিআর, আইওম ও অন্যান্য এনজিও নির্মাণ করবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রোগের টিকা দেয়া হয়েছে এবং একাজ চলমান রয়েছে। এ ক্যাম্পে ইউনিসেফ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেনিটেশন কাজে ব্যাপক সহযোগিতা করায় মন্ত্রী ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর