মঙ্গলবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে কলেরা টিকা দান কর্মসূচি শুরু করেছে জাতিসংঘ। শরণার্থীদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ টিকা দান কর্মসূচি এটি। গত কয়েক দশকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী বৌদ্ধদের সহিংসতা থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের এ অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। এদিন দেখা গেছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুসহ নারী ও পুরুষ অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে টিকা খেতে ভীড় জমায়। কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে জাতিসংঘ আশ্রয় শিবিরগুলোতে এ কর্মসূচী শুরু করে।
বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে টিকাদানে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকার। পানি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সঙ্কট থেকে কলেরা রোগ সৃষ্টি হয়, এতে অল্প সময়ের মধ্যে মারা যায় আক্রান্ত রোগী।
ইউনিসেফের মুখপাত্র এ এম শাকিল ফয়েজুল্লাহ এএফপিকে বলেন, “এখানের মানুষ মৌলিক পরিষেবাগুলির অধিকাংশই- মানে টয়লেট, পানি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে কলেরা প্রাদুর্ভাবের চরম সম্ভাবনা দেখা দেয়।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডাঃ এন প্রাণিথারান জানান, জরুরী টিকা দানে প্রাণ রক্ষা সম্ভব। এখানে কলেরা ঝুঁকি খুবই স্পষ্ট এবং এর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।
এদিকে দেখা থেংখালি শিবিরে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবীরা রোহিঙ্গাদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে টিকা খেতে আহবান করছে। ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেডার জানান, ২০১৬ সালের হাইতিতে শরণার্থী শিবিরের পর কলেরা রুখতে এটাই বিশ্বের দ্বিতীয় টিকা দান কর্মসূচী। সূত্র: এএফপি
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি