এ.কে.এম শামছুল হক রেনু
দুনিয়ার উন্নত, অনুন্নত যে কোন দেশের সংসদীয় পদ্ধতির বা প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকারে বিরোধী দলের গুরুত্ব, মূল্যায়ন ও তাৎপর্য অপরিসীম। সত্যিকারের বিরোধী দল যেমনিভাবে পার্লামেন্টে সরকারের ভুল, ভ্রান্তি বিশ্লেষণ করে থাকে তেমনিভাবে ক্ষমতাসীন সরকারকে তা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে থাকে। তদোপরি সরকারের ভালো কাজের প্রশংসাও করে থাকে। মোদ্দা কথা সংসদের বিরোধী দল, সংসদ দেশের মানুষের দুঃখ, অভাব, অভিযোগ, উন্নয়ন তথা সামগ্রীক বিষয়ে আলোক বর্তিকা বা পথ নিদের্শক বললেও অত্যুক্তি হওয়ার কথা নয়।
গণতান্ত্রিক ও জনগণের ভোটের সরকার সব সময় তাদের সামনে চলার স্বার্থেই সংসদের বিরোধী দলকে অকপটে তাদের সহায়ক ও কম্পাসের মতো দিক নির্দেশকও মনে করে থাকে। খুব দুরে না গিয়ে সংসদীয় সরকারের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রেক্ষাপটকেও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যেতে পারে। তারপরও রয়েছে দিক ভ্রান্ত অনেক উদাহরণ। বর্তমান ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের মতামতকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া হয় না। কংগ্রেস যদি সংসদে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করে থাকে তবে সংসদের স্পীকার ও সরকারী দল এটাকে সাধুবাদই জানায়নি বরং এটাকে হ্যাঁ ভোটে জয়যুক্তও করে থাকে। কোন অবস্থাতেই সরকারী দল না না কন্ঠভোটে তা বাতিল করে দেয় না।
এরই মধ্যে আরেকটি প্রসঙ্গ এ নিবন্ধে না আনলেই নয়। দেখা গেছে ফারাক্কার মতো তিস্তার ন্যায্য পানির হিস্যার ব্যাপারে বর্তমান বিজেপির মোদি সরকার এবং ভারতের আগের মনমোহন সিং সরকার বাংলাদেশের মানুষের ন্যায় সংগত দাবী ও প্রত্যাশায় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে চাইলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাধার কারণে তা থেকে সরে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জ্বালা যন্ত্রণার অপরীসিম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিজেপি সরকার চতুরতা, কুটিল ও চাণক্য বুদ্ধিমত্তায় কারণ দেখিয়ে বলছে, তিস্তার পানি প্রাপ্তি বাংলাদেশের ন্যায্য দাবী হলেও পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জিকে ক্ষেপিয়ে কিছু করতে চাচ্ছে না। যদিও ভারতের সংসদে ও ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস এমন কিছু বড় বিষয় নহে। এ বিষয়টি বাংলাদেশে ভারত সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে মমতা ব্যানার্জির কারণে সমাধান না হলে বর্তমান ভারত সরকার ইচ্ছে করলে ভারতের পার্লামেন্ট প্রস্তাব এনে বিপুল ভোটে পাস করিয়ে নেয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু তা না করে মমতা ব্যানার্জির কথার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে তা করা হয়েছে। তিস্তার পানির বিষয়টি সমাধান না করে আমাদের কাছে (বাংলাদেশ) কষ্টের অপরিসীম কারণ হলেও মমতা ব্যানার্জিকে বিজেপি সরকার সম্মান প্রদর্শন করেছে। তারপরও বাংলাদেশের ভোক্তভোগী জনগণ অবিলম্বে তিস্তার পানির ন্যায় সংগত সমাধান প্রত্যাশা করে থাকে। তিস্তার পানি আমাদের ন্যায় সংগত প্রাণের দাবী। বাংলাদেশের যাতনা ক্লিষ্ট ১৬ কোটি মানুষের বাঁচা মরার লড়াই।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ভারত সফরে গিয়ে মমতা ব্যানার্জির জন্য বাংলাদেশের ইলিশ ও জামদানী শাড়ী উপহার দিয়েছিলেন। তদুপরি মমতা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক বলেও গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। তারপরও মমতার মন গলেনি। সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে তিস্তার পানি নিয়ে এ যাতনা ও ভানুমতির খেলা এদেশের মানুষের মনে মানে না, প্রাণে সহেনা।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকার দেশ হিসেবে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি পেলেও কোন সময় দেশটিতে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকার কোন সময় সংসদীয় পদ্ধতির সরকার এবং কোন সময় সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে। ৭৩ সালের সংসদে কয়েকজন সরকারবিরোধী এমপি থাকলেও কোন বিরোধী দল ছিল না। ১৯৭৯ সালের সংসদে বিনএপি ক্ষমতায় এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী দল। সেই সংসদেই প্রথমে বিরোধী দলের নেতাকে সরকারী বাসভবন, সরকারী গাড়ী এবং মন্ত্রীর মর্যাদায় সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। ৮৬- এর সংসদে জাতীয় পার্টি সরকারী আওয়ামী লীগ বিরোধী দল এবং বিএনপি নির্বাচনে যায়নি বলে মাঠের বিরোধী দল। ৮৮’র সংসদে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নির্বাচনে যায়নি বলে উভয়েই মাঠের বিরোধী দল এবং সাজানো বা গৃহপালিত ২৩ দলীয় কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি-কপ বিরোধী দল। ’৯১ এর নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিএনপি ক্ষমতায় এবং আওয়ামী লীগ সংসদের বিরোধী দল। ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী আওয়ামী লীগ বিহীন বিএনপি একতরফা সরকার গঠন করলে বিএনপি দেড় মাসের মাথায় সংসদ ভেঙে দেয়। তেমনিভাবে ’৭৩ সালে রাজনৈতিক কারণে এবং ’৮৬ এবং ’৮৮ সালে সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হতে না হতেই জনদাবীর মুখে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়ে থাকে। ’৯৬ এর ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এবং বিএনপি বিরোধী দল। ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি সরকারে এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী দল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এবং বিএনপি সংসদের বিরোধী দল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে বর্তমান মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ অনেকগুলি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবী করলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা না মেনে একতরফা নির্বাচন দিলে বিএনপিসহ অনেক দলই তাতে অংশগ্রহণ করেনি। তাতে প্রথম দিকে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল খ্যাত জাতীয় পার্টি বিএনপিকে রেখে নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপার বিভিন্ন ছলছাতুরী ও ডিগবাজি করে থাকে। অবশেষে ভোটার বিহীন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহন করে থাকে এবং বর্তমান সরকারের সংসদের বিরোধী দলের নেতার আসন গ্রহণ করে থাকে। অন্যদিকে বড় দল বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে বর্তমানে মাঠের বিরোধী দল হিসেবে আন্দোলন, সংগ্রাম করে যাচ্ছে এবং আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন সহায়ক সরকারের রূপ রেখার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে আসছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকেই ২০১৮ এর অক্টোবর থেকে ২০১৯ এর ২৮ জানুয়ারীর ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করবে বলে এখনো অনড় ও অবিচল। তারপরও সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় জনৈক বিএনপি নেতা বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে আমজাদ হোসেন পরিচালিত “গোলাপী এখন ট্রেনে” সিনেমার একটি ডায়ালগ উদ্ধৃতি করে নির্বাচন সহায়ক সরকারের কথা পরিস্ফুটন করেছেন।
অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, এরশাদ সংসদে না থাকলে এমন বিরোধী দল বিহীন সংসদ আরো ভালো চলবে। অতীতে কানা ছেলের নাম পদ্ম লোচন মার্কা বিরোধী দল বিহীন সংসদ ভালো না চললেও বর্তমান বিরোধী দলের চেয়ে খারাপ চলেনি। দেশের হাজার হাজার সমস্যাও জনসাধারণের কথা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে দেশের মানুষ বর্তমান সংসদের বিরোধী দলকে দেখতে পায়নি। তাছাড়া অনেকেই মন্তব্য করে বলে থাকে, যে দলের চেয়ারম্যান মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, মন্ত্রীসভার ১ জন মন্ত্রী, ২ জন প্রতিমন্ত্রী সেটা কিসের বিরোধী দল? এ প্রসঙ্গে এরশাদ নিজেই দলের বহু সভায় বলেছেন, দেশের মানুষ আমাদেরকে বিরোধী দল হিসেবে আর দেখতে চায় না। দেশ বিদেশে কোথায়ও মুখ দেখানো যায় না। সবাই বলে সরকারের মন্ত্রী পরিষদে থেকে এটা কিসের বিরোধী দল? হয়তোবা মন্ত্রীত্ব ছেড়ে চলে আসুন নচেৎ আওয়ামী লীগে যোগদান করুন। দেশে জি হুজুর মার্কা বিরোধী দলে না থেকে একটা অর্থবহ বিরোধী দল থাকা দরকার। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে গুরুত্ব বহন করে থাকে। তাই একজন দার্শনিক বলেছেন, সহস্র চাটুকারের চেয়ে একজন তিক্ত সমালোচক অধিক বেশী কল্যাণময়। তা না হলে বিরোধী দলের উপমা, সংজ্ঞা ও ধারণা পাল্টে গিয়ে যেই লাউ সেই কদু এবং যেই আম সেই ম্যাংগোর মতই ভাবতে হতে পারে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের বিরোধী দল বিহীন হলেও, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী মাত্র ১৩ মিনিটে সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল গঠন করা হলে তদানীন্তন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জেনারেল এম.এ. জি ওসমানী ও ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন এর প্রতিবাদ করে সংসদ সদস্যপদে ইস্তফা দিয়ে বেড়িয়ে আসেন। ১৯৮৮’র সংসদ নির্বাচনে যেমনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যায়নি, তেমনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনে বিএনপিও অংশগ্রহণ করেনি। তাই বলে লেন্দুপ দর্জির মতো এরশাদের জি হুজুর মার্কা এমন বিরোধী দল কারো কাম্য হতে পারেনি। যদি সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তবে তা দেশের জন্য খুবই মঙ্গল ও হিতকর। দেশের মানুষের প্রত্যাশা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কথা বলার জন্য সত্যিকার অর্থে একটা বিরোধী দলের অত্যাবশ্যক। যে বিরোধী দল জনগণের কথা, উন্নয়নের কথা এবং সরকারের ভুল ভ্রান্তি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে। তাতে যেমনি দেশের মানুষ উপকৃত হবে, তেমনি প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে দেশ, জাতি, জনগণ ও বর্হিবিশ্বের দেশের বিরোধী দল হিসেবে জনগণের আসনে সমাদৃত হবে। শান্তিতে নোবেল পদক প্রাপ্ত ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসেবে একসময় পরিচিত বার্মার অং সান সুচি বর্তমানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে মিলেমিশে আজ যেভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, নিপীড়ন ও সদ্যজাত কুলের শিশুকে যে নির্মমভাবে হত্যা করছে, বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করছে, মসজিদে আশ্রিত নারী পুরষ শিশুকে অমানবিকভাবে অত্যাচার করে মসজিদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে দুনিয়ার কোন দেশেই যেন এমন দানবের আবির্ভাব না হয়। এমন ধরণের গণতন্ত্রী ও শান্তির নোবেল বিজয়ীকে মানুষ আজ নিন্দাবাদ জানিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, ইরানসহ দুনিয়ার অনেক মুসলীম দেশে সুচির কুশপত্তলিকা যেমনিভাবে পোড়ানো হচ্ছে, তেমনিভাবে তার প্রতিকৃতিতে থুথু দিয়ে বলা হচ্ছে তার শান্তির নোবেল প্রাইজ যেন প্রত্যাহার করা হয়।
হযরত সোলায়মান (আঃ) বলেছেন, ‘অন্যায়কারী তার দুষ্কর্মের রশিতেই বাঁধা পড়বে এবং একদিন না একদিন তাকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেই হবে।’ দুইদিন আগে হোক বা দুই দিন পরে হোক ইতিহাস কোন অত্যাচারীকে আদৌ ক্ষমা করেনি। ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে স্রোতের পানির মতো প্রবাহিত হয়ে থাকে।
একটি অর্থবহ বিরোধী দল রাষ্ট্র, সরকার, দেশ ও সংসদের ভাবমূর্তিরই পরিস্ফুটন ও বিকশিতই করেনা, জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভাবমূর্তিকেও উর্ধ্বে তুলে ধরে থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমান সরকারের আমলে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিন পিং বাংলাদেশ সফরে এসে বর্তমান সংসদের বিরোধী দলের নেতা ও এরশাদের সহধর্মিনী রওশন এরশাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ না করে মাঠের বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারপর বর্তমান সংসদের বিরোধী দল সম্পর্কে আর কারইবা বলারই বা কি অবশিষ্ট থাকতে পারে।
তাই গণতন্ত্রের মহান প্রবক্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলো। তিনি বলেছেন- ‘আমি সত্য ও জনমতকে বিসর্জন দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে বাধ্য নই। আমি আমার জ্ঞানের আলো বিসর্জন দিয়ে সাফল্য ছিনিয়ে নিতে বাধ্য নই। আমি অবশ্যই সেই লোকটির পিছনে থাকব, যতক্ষণ সে সত্যের পথে থাকে। আর যখন সে সত্য থেকে বিচ্যুত হবে তখন আমিও তাকে পরিত্যাগ করব।’