২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:১০

তিতাস কর্মকর্তার অবৈধ বাণিজ্যের খোঁজ পেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তিতাস গ্যাস গাজীপুরের ব্যবস্থাপক সাব্বেদ আহমেদ চৌধুরী একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন অবৈধ গ্যাস সংযোগের সিন্ডিকেট। তারা ফার সিরামিকস লিমিটেড, সিআরসি গ্রুপ ও প্যারাগনসহ প্রায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠানে অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় শত কোটি টাকা।ভয়াবহ এ অনিয়ম তদন্তে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজার প্রকৌশলী সাব্বের আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একই সঙ্গে সাব্বের আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন বৈঠকে গত ৮ অক্টোবর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদক পরিচালক একেএম জায়েদ হোসেন খান সই করা আদেশে অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ এর অধীনে কর্মকর্তা নিয়োগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গাজীপুর ও সাভার শিল্পাঞ্চলের অনেক কারখানায় প্রয়োজনের তুলনায় কম গ্যাস সরবরাহ করে অতিরিক্ত বিল নিচ্ছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে ওই এলাকার অনেক শিল্প কারখানা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে চাহিদার তুলনায় ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি গ্যাস ব্যবহার করছে। অথচ বেশি গ্যাস ব্যবহার করতে হলে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি থেকে সিকিউরিটি মানি জমা দিয়ে অনুমোদন নিতে হয়, যা ওই কারখানাগুলো নেয়নি।

শুধুমাত্র তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ওই কারখানাগুলো অবৈধভাবে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এতে একদিকে সরকার প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে অন্যান্য কারখানাগুলো কম গ্যাস ব্যবহার করেও বিল হিসেবে অতিরিক্ত টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে বলে এক ভুক্তভোগি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, তিতাস গ্যাস গাজীপুরের ব্যবস্থাপক সাব্বেদ আহমেদ চৌধুরী অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ফার সিরামিকস লিমিটেড, সিআরসি গ্রুপ ও প্যারাগনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। এর ফলে গাজীপুর এলাকায় প্রায় ১৫০শত কারখানা থেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই কর্মকর্তারা।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ১০, ২০১৭ ৩:২৭ অপরাহ্ণ