আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জোড়া ধর্ষণে অভিযুক্ত ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং। তার সেই আর্জি গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে, দেশটির পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে এই মামলায় গুরমিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই ধর্ষিতা। তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন তাদের দু’জনের আবেদনও হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে।
২৫ আগস্ট হরিয়ানার সিরসা জেলার পঞ্চকুলার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত গুরমিতকে দোষী সাব্যস্ত করে। ডেরারই দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার ২০ বছরের জেল হয়েছে। সে রোহতকের সুনারিয়া জেলে আপাতত বন্দি রয়েছে। তবে এক মাসের মাথায় সিবিআই আদালতের সাজার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। তার আর্জি ছিল, দু’টি মামলাতেই তার সাজা কমানো হোক। সেই আবেদনই আজ গ্রহণ করেছে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি সুধীর মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ।
গুরমিতের আইনজীবী এস কে গর্গ নারওয়ানা জানিয়েছেন, দু’টি ধর্ষণ মামলার সাজা কমানোর আর্জি আলাদা করে গৃহীত হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ, সিবিআই আদালতের নির্দেশ মতো আগামী দু’মাসের মধ্যে গুরমিতকে তিরিশ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে। নারওয়ানা জানাচ্ছেন, এই আবেদনের রায় তাদের পক্ষে গেলে ওই টাকা তার মক্কেল ফেরত পেয়ে যাবে। যদিও একইসঙ্গে আদালতকে নারওয়ানা জানিয়েছেন, তার মক্কেল দীর্ঘদিন ধরে সংসারত্যাগী। সুতরাং তার পক্ষে তিরিশ লক্ষ টাকা জোগাড় করা খুবই কঠিন কাজ। গুরমিত কিছুতেই এত পরিমাণ টাকা জমা করতে পারবে না।
ধর্ষিতাদের আইনজীবী নবকিরণ সিং আবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৪ অক্টোবর গুরমিতের যাবজ্জীবনের সাজা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার মক্কেলরা। সেই আর্জিও শুনতে রাজি হয়েছে হাইকোর্ট। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, নবকিরণের বক্তব্য, ডেরা প্রধান হওয়ার দরুণ তার মক্কেলদের বাবার ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল গুরমিতের। তা না করে, উল্টো আশ্রমের দুই ভক্তের উপর যৌন নির্যাতন করে সে যে অপরাধ করেছে, তার সাজা যাবজ্জীবনই হওয়া উচিত। দু’টি আর্জিরই রায় একসঙ্গে শুনবে আদালত।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি