লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন মাদ্রাসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দারাসবাড়ি মাদ্রাসা, দর্স অর্থ পাঠ। দারুস বাড়ি অর্থ যে বাড়িতে পাঠদান করা হয় অর্থাৎ পাঠশালা। দারুস ও বাড়ি- আরবি ও বাংলা শব্দ ২টি কালের আবর্তে কিঞ্চিত অপভ্রংশ হয়ে একটা শব্দ দারাসবাড়ি হয়েছে। দারাসবাড়ি মাদ্রাসা তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় মানের পাঠ্যদান কেন্দ্র ছিল। এখন পর্যন্ত দারাসবাড়ি মাদ্রাসা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন মাদ্রাসার নিদর্শন। সুলতান আলাউদ্দীন শাহ ১৫০৪ সালে এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
এ স্থাপনায় বর্গাকৃতির ছড়াছড়ি। বর্গাকার এ স্থাপনাটির প্রতিটি বাহু প্রায় ১৬৯ ফুট দীর্ঘ। তালেবুল এলেম/ছাত্রদের ঘরগুলো এবং পুরো স্থাপানার ঠিক মাঝখানে অধ্যক্ষ সাহেবের অফিস ঘরটিও বর্গাকৃতির। বর্গের হিসেব করলে ছাত্রদের ঘর সংখ্যা হওয়ার কথা ৪০টি; কিন্তু মোট ৩৭টি ঘর পাওয়া যায়। বাকি ৩টি ঘরের স্থানে ৩টি প্রবেশ পথ। পশ্চিম দিকে কোনো প্রবেশ পথ নেই। পশ্চিমদিকে প্রবেশপথের স্থানে ওয়াক্তিয়া মসজিদ।
মসজিদের ৩টি মেহরাবের অস্তিত্ব আজও দৃশ্যমান। টিকে থাকা গড়ে প্রায় ৪ ফুট উঁচু দেওয়ালের উপরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১ ইট পরিমাণ গাঁথুনি দিয়ে দেওয়ালটি টেকসই করার পদক্ষেপ নিয়েছে। মাদ্রাসার ভেতর ও বাইরের দেওয়ালে একদম নিচে ছাপ টেরাকোটার একটি স্তর দেখা যায়। দেওয়ালে ইট দিয়ে নকশার কাজও চোখে পরে।
যেভাবে যাবেন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘি এলাকায় অবস্থিত দারাসবাড়ি মসজিদের ১৫০মি. পূর্বদিকে দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি