সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতন আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা কে এম নাজির উদ্দিন জেহাদের আজ ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে ৭ দলীয় জোটের মহাসমাবেশ এবং সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা কে এম নাজির উদ্দিন জেহাদ। জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। এছাড়া পারিবারিক ভাবেও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সলে এরশাদ পতন আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। ১০ অক্টোবর বিএনপি সহ ৭ দলীয় জোট ঢাকার পল্টন ময়দানে মহাসমাবেশের ডাক দেয়। সমাবেশ সফল করতে জেহাদ উল্লাপাড়া থেকে ৬০ জন ছাত্র নিয়ে রাতে বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ভোররাতে সকলকে সাথে নিয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। এরপর তিনি সবাইকে নিয়ে পল্টনে ৭ দলীয় জোটের মহাসমাবেশ এবং সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন। বেলা ৪টার দিকে পুলিশ পল্টনের মহাসমাবেশে লাঠিচার্জ ও গুলি করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় জেহাদ।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পথে মারা যায়। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর পুলিশ তার লাশ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রদের তোপের মুখে এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ছাত্ররা জেহাদের লাশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হেফাজতে রাখেন। ভিসি রাজারবাগ পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
তারা ময়না তদন্ত শেষে ১১ অক্টোবর রাত ১০টায় পুলিশ প্রহরায় লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানো হয়। ১১ অক্টোবর সকালে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জেহাদ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার নবগ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯০ সলে সরকারি আকবর আলী কলেজে বিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ সময় তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি এবং উপজেলা শাখার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি