আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি (আপ)-এর নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন ‘আমি কোন সন্ত্রাসবাদী নই, আমি একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী’। দিল্লির স্কুলগুলিতে কর্মরত অতিথি শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগ সম্পর্কিত একটি বিলের আপত্তি জানানোয় গতকাল বুধবার দিল্লি বিধানসভায় দিল্লির লেফটেনেন্ট গর্ভনর অনিল বৈজালকে উদ্দেশ্যে করে এই মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল।
বুধবার বিধানসভায় দিল্লি রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলগুলিতে চুক্তিভিত্তিক ১৫,০০০ অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকার স্থায়ী নিযুক্তি সম্পর্কিত একটি বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় অংশ নিয়েই লেফটেনেন্ট গর্ভনর, বিজেপি ও আমলাতন্ত্রকে একযোগে নিশানা করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে জোট হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়ালের ওই মন্তব্যের পরই বিরোধীরা ওয়াকআউট করে। অধিবেশনে কেজরিওয়াল পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘আমি দিল্লির মালিক, আমি আমলাতন্ত্রের মালিক নই’।
কেজরিওয়ালের ওই বক্তব্যের পর টেবিল চাপড়ে স্বাগত জানান আপ বিধায়করা। পরে ধ্বনি ভোটে সেই বিলটি পাশ হয়।
এই বিলটি নিয়ে দিল্লির লেফটেনেন্ট গর্ভনর বৈজাল আগেই আপত্তি জানিয়েছিল, বৈজালের যুক্তি ছিল চাকরি সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত দিল্লি বিধানসভার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আপ সরকারের প্রস্তাবটি সাংবিধানিক নিয়মাবলী বিরুদ্ধে।
বৈজালের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এদিন বিধানসভার অধিবেশনে মেজাজ হারান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘লেফটেন্যান্ট গভর্নরের যুক্তি মানতে পারছি না। শিক্ষার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই ভাল। এতে শুধু সংবিধান নয়, সমস্ত শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অবমাননা করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে শুধুমাত্র স্কুল নির্মাণই বোঝায় না। শিক্ষক নিয়োগও তারমধ্যে পড়ে। তাঁর অভিযোগ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া’এর হাতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক নিযোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি তাঁকে দেখানো হয়নি।
তাঁর প্রশ্ন এই ফাইলগগুলিতে এমন কী গোপন তথ্য আছে যেটা আমাদেরকে দেখানো যাবে না? আমি লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে জানিয়ে দিতে চাই যে, আমি দিল্লির নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। কোনো সন্ত্রাসবাদী নই। মনীশ সিসোদিয়াও রাজ্যের নির্বাচিত শিক্ষামন্ত্রী। তিনিও সন্ত্রাসবাদী নন’।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ