২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১০

৪ বছরেও সংস্কার হয়নি লটাখোলা সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দোহার উপজেলার লটাখোলা সেতুটি চার বছর ধরে ভেঙে দেবে আছে। পুননির্মাণের আগপর্যন্ত সেতুটিতে যান চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দিয়েছিল দোহার উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হরিচণ্ডি, রামনাথপুর, বিলাসপুর ও চর-লটাখোলা গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিত পড়েছেন। ব্রিজটিতে  রিকশা, ভ্যান, অটো গাড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তারা। দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার চরাঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। মাঝে মাঝে ব্রিজের ওপরই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

দোহার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, সেতুটি দোহার পৌরসভার সীমানার ভেতরে পড়েছে। এর দুই পাশে রয়েছে দুটি ইউনিয়ন। সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ঢাকা জেলা পরিষদের অর্থায়নে। আকারে সেতুটি বড় হওয়ার কারণে সংস্কার করা সম্ভব নয়। উপজেলা ও পৌরসভা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাসহ সেতুটি পুননির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

দোহার উপজেলা প্রকৌশলী সুশীল কুমার সরকার বলেন, সেতুটি জেলা পরিষদ নির্মাণ করলেও এখন এলজিইডির মাধ্যমে পুননির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যত দূর জানি, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন।

বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির ছয়টি পিলারের মধ্যে দুটি পিলার দেবে একাংশ উঁচু-নিচু হয়ে আছে। সেতুর দুই পাশের নিরাপত্তাবেষ্টনীর বেহাল দশা। ভেঙে গেছে অনেক জায়গায়। সেতুর ওপর দাঁড়ালেই কাঁপুনি লাগে। কিন্তু এই ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়েই জীবনের ঝুকি নিয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করছে হাজারো মানুষ। শুধু মানুষই নয়, চলছে রিক্সা, অতো রিক্সা, বাইকসহ ছোট খাটো নানা রকম যানবাহন। এসব যান চলাচলের সময় ভয়ংকর ভাবে দুলে সেতুটি। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ বলেন, এরআগে আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছি। কিন্তু তারপরেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কিংবা উপজেলা থেকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে আমরা এলাকাবাসী খুবই হতাশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোহার পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম মিয়া জানান, সেতুটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল। উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মিলে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেন। পরে লোকজন আবার চলাচল শুরু করেছে।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমীন বলেন, সেতুটি অনেক বড়। এটি পুননির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে চিঠি পাঠিয়েছি। এখনো চিঠির কোনো জবাব পাইনি। পুননির্মাণের আগপর্যন্ত সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। আপাতত লোকজন চলাচল করার জন্য একটু ফাঁকা রাখা হয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ৪, ২০১৭ ২:৪৩ অপরাহ্ণ