১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৫৯

সেপ্টেম্বরে ১২৪ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এর তথ্য মতে সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১২৪ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ৬১ জন, ৪৫ জন নারী। ১৫ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হন ও তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এছাড়া সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৬৮ জন।

ধর্ষণ : সেপ্টেম্বর মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২৪ জন নারী ও শিশু। এদের মধ্যে শিশু ৬১ জন। ৪৫ জন নারী। ১৫ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হন ও তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে। এর আগে আগস্টে ধর্ষণের শিকার হয় ১০২ জন নারী ও শিশু। এদের মধ্যে শিশু ৪০ জন ও ৪৩ জন নারী।

আত্মহত্যা : সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৬৮ জন। এদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ৪৫ জন নারী। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান, রাগ ও যৌন হয়রানি, পরীক্ষায় খারাপ ফলের কারণে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঢাকা বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর ও নারায়ণগঞ্জে আত্মহত্যার হার বেশি।

শিশুহত্যা : সেপ্টেম্বর মাসে ২৩ শিশুকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে গাজীপুরে চুরির অভিযোগ এনে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সিলেটে ৭ বছরের এক শিশুকে গলাটিপে হত্যা করে সৎমা। ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে শিশু হত্যার সংখ্যা বেশি।

পারিবারিক কলহ : পারিবারিক কলহে সেপ্টেম্বর মাসে নিহত হন ৫০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন, নারী ৩৮ জন। এদের মধ্যে স্বামীর হাতে নিহত হন ২৭ জন নারী। আর স্ত্রীর হাতে নিহত হন চারজন স্বামী।

সামাজিক অসন্তোষ : সামাজিক অসন্তোষের শিকার হয়ে এই মাসে নিহত হয়েছেন ৯ জন। সামাজিক সহিংসতায় আহত ও নিহতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সন্ত্রাসী কর্তৃক ৭২ জন নিহত হয়েছেন বলে সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত মাসের অন্যান্য সহিংসতার ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল মাদকের প্রভাবে বিভিন্নভাবে নিহত ৩ জন, আহত ১ জন। পানিতে ডুবে, অসাবধানতাবশত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, বজ্রপাতে মারা গেছে ৯৫ জন। গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে ৮ জন। সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০৫ জন, আহত হয়েছে আরো ৪৩৪ জন। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে ৬ জন। রাজনৈতিক সহিংসতায় আহত হয় ২৬ জন যার অধিকাংশ ঘটনা সরকারি দলের আন্তঃকলহের জেরে। এছাড়া অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হয়েছে ২০টি। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দমন অভিযানে গণগ্রেপ্তার করা হয় ৩১৪ জনকে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ৩, ২০১৭ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ