নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান বিচারপতির এক মাসের ছুটি নেয়াকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, এটা ভালো কোনো ইঙ্গিত বহন করছে না। দেশের একটির পর একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার যে ধারাবাহিকতা তার সর্বশেষ নজির বিচার বিভাগ। এটি ধ্বংস হলে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থলও আর থাকবে না। সাধারণ মানুষের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ ও সংকট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব এ এস এম শামীম, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এম এ হান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মিয়া মো: আনোয়ার, রকিবুল ইসলাম, ইসমাইল তালুকদার, এম জাহাঙ্গীর আলম, আবুল মনসুর ভুঁইয়া প্রমুখ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলছে কি না তা নিয়ে মানুষ চিন্তিত।
দেশে ও দেশের বাইরে থেকে সরকারের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের এ ধরনের অপচেষ্টা সফল হবে না।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছিল।
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক নাটক করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা নিজেরা ত্রাণ দিচ্ছে না। বিদেশী ত্রাণ সরকারের মন্ত্রীরা শুধু বণ্টন করছেন।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আওয়ামী লীগের অফিস খোলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা সেখানে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ত্রাণ লুটপাটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকার্মীরা রোহিঙ্গাদের মাঝে অব্যাহতভাবে ত্রাণ বিতরণ করছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর