নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার খাসপাড়ার মাঠের বিলের ধারে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে মাছ ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী রিপনকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী মহিন সহ তার পরিবারের লোকজন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপন উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের মোতালেবের ছেলে এবং যুবলীগ কর্মী। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মহিনের পরিবারের ৩ জন নারী সদস্য পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে মাছ ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী রিপন স্থানীয় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী মহিন সহ তার লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বিলের ধারে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার লাশ গুম করার জন্য বিলের পানির পাট জাকের নিচে রেখে চলে যায়। রিপন বাড়ি ফিরে না আসায় আজ সকালে পরিবারের সদস্যরা খোজাখুজি শুরু করে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে বিলের ধারে লাঠি ও রক্ত মাখা দেশীয় অস্ত্র দেখে সন্দেহ হলে পাট জাকের নিচে তল্লাশি করে তার লাশ দেখতে পায়। এরপর তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সকাল ১০ টায় ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সহকারী পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম , সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক, সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যাকান্ডের পর ঘাতক মহিন ও তার বাবা শামসদ্দিন পালিয়ে গেছে। তবে ঘাতকের মা, স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিবেশী মহিন সহ তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই লিটন গাজী জানান, ঘাতক মহিন এর স্ত্রীর সাথে রিপনের অবৈধ পরকীয়া প্রেমের কারণে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ