আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগেই ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর চাপে থাকা বাংলাদেশের পাশে না থেকে উল্টো নিপীড়ক মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রের দাবিদার দেশটি। এবার ভারত সরকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তারা কোনো ধরনের মধ্যস্থতায় থাকার পরিকল্পনা করছে না। শনিবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুটিনিকের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ভারতের এএনআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। যদিও রাশিয়ান বার্তা সংস্থাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার মন্তব্য কিংবা বিবৃতি উল্লেখ করেনি। তবে গত শুক্রবার ভারত আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, ‘ভারত সরকার এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে মানবিক সাহায্য পাঠানোকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই সহায়তা আরও বাড়ানোর চিন্তা করছে।’ উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রাখাইনের অন্তত ৩০টি পুলিশ চৌকি ও একটি সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা যোদ্ধারা প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে জঙ্গি দমনের নামে নতুন করে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনা অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৫ লাখ এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহতের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। যদিও মিয়ানমার সরকারের দাবি, নিহতের এ সংখ্যা ৪শ’। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারত গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ২১ হাজার ইউনিট ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছিল। দেশটি সবমিলে ৬২ হাজার ইউনিটের ৯০০ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। তাদের এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- রেশন, কাপড়, তেল ও মশারি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি