আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (United Nations High Commissioner for Refugees) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কষ্টভোগ করতে হচ্ছে। জাতিগত নিধনযজ্ঞের কারণে মিয়ানমার থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা এসব মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা বৃষ্টিতে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এসব অসহায় মানুষদের রক্ষা করতে বৃষ্টি রোধক তেরপল ও নানা সরজ্ঞাম সরবরাহ করা হচ্ছে। শরণার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, সীমান্ত পারি দেয়ার পর খাদ্যের আগে তাদের আশ্রয়ের প্রয়োজন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
অস্থায়ী আশ্রয় তৈরিসহ বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা শরণার্থীদের প্লাস্টিক সামগ্রী সরবরাহ করছে। বৃষ্টি রোধক সামগ্রী সরবরাহ প্রসঙ্গে ইউএনএইচসিআর’এর মুখপাত্র ফিলিপ কামারগো জানান, আবহাওয়ার অবস্থা দেখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য বৃষ্টিরোধক সামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গত মানুষদের বৃষ্টির পানি থেকে যাতে মাথা বাঁচে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। ফিলিপের মতে, আগত শরণার্থীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত মাসের শেষ থেকে এপর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
কিন্তু শরণার্থী শিবিরগুলোয় জায়গা না হওয়ার সহায় সম্বলহীন অধিকাংশ মানুষকে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে। ফলে বৃষ্টি তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিচ্ছে। ফিলিপ বলেন, এখানে সবাই হাতে হাত মিলিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ যে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কি তা নির্ধারণ করা। আমরা দেখেছি, খাদ্য বস্ত্রের চাইতে এসব মানুষের বেশি প্রয়োজন আশ্রয়। একটা ছাদ..
শরণার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, নতুন অঞ্চলে প্রবেশের পর তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া। দুস্থ ও অসহায় মানুষেরা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। পানের জন্য বিশুদ্ধ পানির যেমন প্রয়োজন, তেমনই বৃষ্টিতে ভিজে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কম নয়।
মানবাধিকার সাহায্য সংস্থা এবং শরণার্থী উভয় পক্ষই জানিয়েছে, বর্তমানে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে অব্যবস্থাপনার চিত্র পাল্টে গেছে। সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেয়ার পর সেখানে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। শরণার্থী শিবিরের বাইরেও শৃঙ্খলা ফেরাতে সেনাবাহিনী কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ ও যাতায়াতের সুবিধায় চলতি সপ্তাহে রাস্তাও নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ