আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা লন্ডনে রয়েছেন এবং যুক্তরাজ্যে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চষ্টো করছেন। বৃহস্পতিবার ইংলাকের দল ফেউ থাই পার্টির এক সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছে। গত বুধবার থাইল্যান্ডের সুপ্রিমকোর্ট ইংলাককে বিতর্কিত চাল বিতর্ক কার্যক্রমে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। থাইল্যান্ডের ওই চাল কর্মসূচিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছিল। আদালতের রায়ের আগেই ইংলাক দেশ থেকে পালিয়ে যান। ফলে সুপ্রিমকোর্ট রায় ঘোষণার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
২০১৪ সালে ইংলাক সরকারের এক সামরিক অভু্যত্থানে পতন ঘটে। ২০১৫ সালে দুর্নীতি মামলায় বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে তার ওপর আদালতের অনুমতি ছাড়া থাইল্যান্ড ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর আদালতে জামানত হিসেবে জমা দেয়া ইংলাকের ৩ কোটি বাথ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা বৃহস্পতিবার বলেন, ইংলাক দুবাইতে আত্মগোপন করে আছেন। সেখানে তার ভাই ও অপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাও স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন।
তবে ফেউ থাই পার্টির এক সূত্র জানিয়েছে, ইংলাক দু’সপ্তাহ আগে দুবাই ছেড়ে লন্ডন গেছেন। ইংলাকের রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা সুনির্দষ্টি কোনো আবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না। এর আগে ইংলাক বলেছিলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো চিন্তাও করেন না। আমার বিরুদ্ধে হওয়া সব ধরনের মামলার বিরুদ্ধে আমি লড়ে যাব।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি