দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচকে ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আগে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬ থেকে ৯৯তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম পরিচালিত গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৭-২০১৮ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সূচকের প্রায় প্রতিটিতেই উন্নতি করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশই এ সূচকে উন্নতি করেছে। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত সূচকের প্রায় সবগুলোতে উন্নতি করেছে। সূচকে ভারতের অবস্থান ৪০তম।
এ ছাড়া ভুটান ১৫ ধাপ এগিয়ে ৮২তম স্থানে, নেপাল ১০ ধাপ এগিয়ে ৮৮তম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মতো ৭ ধাপ এগিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি অবস্থান ১১৫তম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য আইসিটি অবকাঠামো এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ছিল বড় বাধা। গত দশকে সাব-সাহারা আফ্রিকার মতো এ অঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এক প্রকার ‘অপরিবির্তত অবস্থায়’ ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূচকের শীর্ষে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর তৃতীয়, নেদারল্যান্ডস চতুর্থ, জার্মানি পঞ্চম, হংকং ষষ্ঠ, সুইডেন সপ্তম, ব্রিটেন অষ্টম, জাপান নবম এবং ফিনল্যান্ড ১০ম স্থানে অবস্থান করছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ বছরের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি এখন একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। ধীর গতি হলেও গত কয়েক বছরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ছিল। ফলে ২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়ন করেছে এমন ১৩৭টি দেশ নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম। প্রতিবেদন তৈরিতে ১২টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উদ্ভাবন, অবকাঠামো ও ম্যাক্রো অর্থনীতির উন্নয়ন অন্যতম। প্রত্যেকটি দেশ প্রত্যেকটি ক্যাটেগরিতে কিভাবে উন্নয়ন করেছে তার ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ