নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ১২শ’ স্যানিটারী ল্যাট্রিন ও ১২শ’ নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে।স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জরুরিভিত্তিতে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে এসব ল্যাট্রিন ও নলকূপ স্থাপন করছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭ টি স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকীগুলো আজকের মধ্যে স্থাপন সম্পন্ন হবে। গতকাল পর্যন্ত ৬৯৮ টি নলকূপ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট নলকূপ স্থাপনের কাজ আগামী তিন দিনের মধ্যে শেষ হবে।
এছাড়া ১৪ টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং ৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ৬ টি ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে ক্যাম্পগুলিতে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি বিতরণ ব্যবস্থা সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে রাস্তার পাশে ১ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮ টি ওয়াটার রিজার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। রিজার্ভারসমূহে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব রিজার্ভার থেকে শরণার্থীরা টেপের মাধ্যমে খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারে আরো ১৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোধে ইতোমধ্যে শরণার্থী ক্যাম্পসমূহে ১ হাজার ৩৫০ কেজি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে এবং আরো ৬৫০ কেজি মজুদ রয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ৩ জন, সহকারী প্রকৌশলী ৭ জন, উপসহকারী প্রকৌশলী ২১ জন, নলকূপ মেকানিক ২২ জন, ভি.এস. ম্যাশন, লেবার, ড্রাইভার ৩৮ জনসহ মোট ৯১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত আছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে চলমান কার্যক্রম তদারকি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর