২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:১৬

বিদ্যুতের দাম সাড়ে ১৪% বাড়ানোর প্রস্তাব পিডিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। অপর দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরী মূল্যায়ন কমিটি গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটের দাম ১০.৬৫ শতাংশ বা ৭২ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত ধারাবাহিক গণশুনানির দ্বিতীয় দিনে এসব প্রস্তাব করা হয়। শুনানির সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য রহমান মুরশেদ, মাহমুদউল হক ভুইয়া, আব্দুল আজিজ খান ও মিজানুর রহমান।

গণশুনানিতে পিডিবি চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এ প্রস্তাব দিয়ে বলেন, বর্তমানে ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে ঘাটতি থাকায় প্রতি ইউনিটে ৩ শতাংশ হারে লোকসান দেওয়া হচ্ছে। শুধু ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাঁচশ ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ কারণে দাম বাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অপর দিকে বিইআরসি গঠিত কারিগরী মূল্যায়ন কমিটি ১০.৬৫ বা ৭২ পয়সা বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। এর আগে সোমবার গণশুনানির প্রথম দিনে পিডিবির উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে প্রতি ইউনিট পাইকারি বিদ্যুতের গড় সরবরাহ ব্যয় ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। অথচ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের হিসাবে পিডিবি পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৪ টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রি করে। এতে দেশের একক পাইকারি বিদ্যুৎ ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান পিডিবির ইউনিট প্রতি আর্থিক লোকসান ৭২ পয়সা।

চলতি অর্থ বছর বা ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে পিডিবি পাইকারি বিদ্যুতের প্রাক্কলিত সরবরাহ ব্যয় ধরেছে ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ৯৯ পয়সা। এ হিসেবে ইউনিট প্রতি লোকসান হবে ১ টাকা ৯ পয়সা। এই বিপুল আর্থিক ক্ষতি সমন্বয় করার জন্যই পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো উচিত বলে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ শুনানিতে দাবি করেন।

২০১৬-১৭ বছরের হিসেবকে ভিত্তি ধরে পিডিবির প্রস্তাব যাচাই বাছাই করে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি চলতি বছরের জন্য পাইকারি বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৫৭ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে।

এদিকে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন ভোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। তারা গণশুনানির প্রথমদিনে বলেছেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবি যেসব ব্যয় বিবেচনা করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে সেগুলোর ভিত্তি নেই। আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশি দামে তেল কিনে, ভর্তুকিকে লোন বিবেচনা করে ও ব্যয়বহুল জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের মতে, বাড়তি ও অযাচিত ব্যয় বাদ দিলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পরিবর্তে কমবে।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

 

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ